শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলার আবহাওয়া। মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় ১৬ নভেম্বর দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের বিষয়টি সমগ্র বাংলাকে নাড়িয়ে রেখে দিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক বাগবিতন্ডাও। এরই মাঝে এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনায় রাজ্য পুলিশ কী করছিল? সেটা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলল আদালত। ঘটনায় এবার রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রকে সময় বেঁধে দিল আদালত। আজ বুধবার আদালত আরও কী কী বলেছে সেটাই জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
বেলডাঙার ঘটনায় ক্ষুব্ধ আদালত
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ট্যান্ডন ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ঘটনার পরই কেন পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর হয়নি। মামলাকারীদের তরফে অবশ্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়। আগামী শুক্রবার কেন্দ্র ও রাজ্যকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বেলডাঙায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে কার্তিক পুজোর সময় তৈরি করা অস্থায়ী গেটে বোর্ডে আপত্তিকর শব্দ লেখা পাওয়া গেলে হিংসার সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষের পর পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে। সেইসঙ্গে অশান্তি এড়াতে ইন্টারনেট পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে।ইতিমধ্যে সেখানে ২৪ ঘণ্টার জন্য জারি হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার ধার্য করা হয়েছে।
আটক সুকান্ত মজুমদার
এদিকে আজ বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বুধবার বেলডাঙায় যাওয়ার পথে আটকে দেয় পুলিশ। তারা রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ সুকান্ত ও তার সমর্থকদের হেফাজতে নেয়। এর আগেও সুকান্ত পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, তাঁকে বেআইনিভাবে আটকানো হয়েছে। জাতীয় সড়কে তাদের আটকে রাখা হয়েছে, যা বেআইনি। তিনি বলেছিলেন, বেলডাঙায় তিনি ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ কাজ করছে।