ফের কপাল পুড়তে চলেছে শিক্ষকদের? ভোটের আগে হাইকোর্টের এক রায়ে থরহরিকম্প রাজ্যে

Published on:

calcutta-hc-teacher

একদম দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। এদিকে নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যা শুনে সকলেই চমকে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় অন্যতম বড় দুর্নীতি হয়ে উঠেছে শিক্ষক নিয়োগ। যা নিয়ে বিগত দু’বছর ধরে এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডকে ঘিরে চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এবার ভোটের মুখে আরো কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

মূলত ২০১৬ সালের আগে যে সকল শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তার একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নথি যাচাই হবে বলে জানা যাচ্ছে। ভোটের মুখে ভুয়ো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের খুঁজে বের করতেই হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

শিক্ষকদের নিয়ে বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের

সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থী সোমা রায়ের ভুয়ো শিক্ষক সংক্রান্ত একটি মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। এই নিয়ে গতকাল সোমবার বড় নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের আগে নিযুক্ত হওয়া মাধ্যমিক শিক্ষকদের নিয়োগের নথিও খতিয়ে দেখবে CID। এর পাশাপাশি ২০১১ সাল থেকে সব জেলা পরিদর্শকের কাজও খতিয়ে দেখতে বলেছেন বিচারপতি।

ভুয়া শিক্ষক ধরা পড়েছে বাঁকুড়ায়

অন্যদিকে রাজ্যের বক্তব্য, আপাতত মোট ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক কর্মরত আছেন। যাইহোক, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ এবং বাঁকুড়া থেকে ভুয়ো শিক্ষকের ঘটনা প্রকাশ্যে উঠে এসেছিল এমনকি কয়েকজনকে গ্রেফতার অবধি করেছিল রাজ্য সিআইডি। প্রথমে মুর্শিদাবাদের গোটা হাইস্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষের ভুয়ো নিয়োগের কথা উঠে এসেছিল। এই ঘটনায় বাবা, ছেলে-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এরপর পরবর্তী কালে বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভুয়ো শিক্ষকের কথাও জানা যায়।

WhatsApp Community Join Now

আরও পড়ুনঃ DA দূর অস্ত, এবার বড় ঝটকা দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার! মাথায় হাত কর্মীদের

সোমার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, গোঠা স্কুলেই আরও এক জন ভুয়ো শিক্ষকের সন্ধান মিলেছে বলে এদিন সিআইডি জানিয়েছে। সেই ঘটনায় আশিসকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে। যে কারণে এবার মামলাতেই রাজ্য সরকারকে জেলাভিত্তিক সব শিক্ষকের কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডার তৈরি করতে বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

সঙ্গে থাকুন ➥
X