প্রীতি পোদ্দার, বাঁকুড়া: চলতি বছর মার্চ মাসে গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কলকাতা পুরসভাকে। তার পরেই বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া আইন আনার বিষয়ে মনস্থির করেছিলেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সমস্ত পুরসভাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যে কোনো জায়গায় অনুমতির বাইরে বাড়তি বিল্ডিং বানানো হলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার। আর এই আবহেই ফের চুক্তির বাইরে বাড়তি বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ায়।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার সোনামুখী পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোনামুখী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় গৌতম চক্রবর্তী ও অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জমি ছিল। সেখানে জমির পরিমাণ ছিল ৩২ কাঠা। আর সেই জমির উপর জগদ্ধাত্রী কনস্ট্রাকশান নামের একটি নির্মাণ সংস্থা ফ্ল্যাট তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তাই ওই জমির উপর ফ্ল্যাট তৈরির জন্য জমির দুই মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি মাফিক কাজও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে গণ্ডগোলটা ঘটে নির্মাণকার্যে। দুই জমির মালিকের সঙ্গে নির্মাণ সংস্থার চুক্তি হয়েছিল ৪ তলা বিল্ডিং এর, কিন্তু সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ওই নির্মাণ সংস্থা সোনামুখী পুরসভা থেকে চার তলা বিল্ডিংয়ের অনুমতি নিয়ে বেআইনিভাবে পাঁচ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করেছে। শুধু তাই নয়, জমির মালিক পক্ষের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণাও করেছে ওই সংস্থা।
হাইকোর্টের দ্বারস্থ জমির দুই মালিক
এর ফলে জমির দুই মালিক প্রথমে সোনামুখী পুরসভায় যান সেখানে ওই নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। কিন্তু পুরসভা এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ করেনি যার ফলে একরকার বাধ্য হয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয় তাঁদেরকে। জানা গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট সেই পুরসভার বিরোদ্ধে প্রশ্ন হাঁকিয়েছে যে পুরসভার একেবারে নাকের ডগায় কীভাবে অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ কাজ হয়ে গেল। এবং আদালতের তরফে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে অবিলম্বে এই দুই মালিকের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সোনামুখী পুরসভাকে দু’মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত নির্মাণকারী সংস্থার মালিকের দাবি, আবাসন নির্মাণের আগেই তিনি সাত তলা বিল্ডিং তৈরির অনুমতি চেয়ে পুরসভায় আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু, সে সময় পুরসভার সর্বাধিক চারতলা বিল্ডিংয়ের অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। তাই চারতলা বিল্ডিংয়ের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি বিল্ডিং প্ল্যান-সহ অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখে পুরসভা স্পষ্টতই জানিয়েছিল ৭ তলা পর্যন্ত নির্মাণের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। সেই নথির ভিত্তিতেই পাঁচ তলা বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুনরায় সমস্ত নথি যাচাইয়ে নেমেছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |