কলকাতাঃ এও সম্ভব! একজন ব্যক্তির নামে নাকি ২৯টি শৌচাগার পাওয়ার অভিযোগ উঠল। একদিকে যখন নানা দুর্নীতিকাণ্ডকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলা, এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল আরও একটা নাম। এবার সেটা হল আবাস যোজনা। এই আবাস যোজনায় কিনা কারচুপির অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে মগরাহাটে।
একজন ব্যক্তির নামে ২৯টি শৌচাগার!
যে ব্যক্তির নামে ২৯টি শৌচাগার রাখার অভিযোগ উঠেছে তিনি আবার পঞ্চায়েত প্রধান। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলা আদালতে উঠতে স্বাভাবিকভাবেই সকলে চমকে গিয়েছেন। চমকে গিয়েছেন খোদ বিচারপতিও।
হাইকোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘বৃদ্ধার ছবি বদলে বাচ্চা মেয়ের ছবি লাগানো হয়েছে শৌচাগারে। আবাস যোজনার কোনও ফর্মে দেখা গেছে ২৮ বছরের যুবতীর ছবি অথচ বাড়ি পেয়েছেন ৭২-এর মহিলা! কোথাও আবার একই মহিলার নামে ২৯টি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে।’ জাহানারা বিবি নামে ৭২ বছরের এক মহিলা বাড়ি পেলেও ফর্মে রয়েছে ২৮ বছরের এক মহিলার ছবি রয়েছে। এছাড়াও ওই প্রকল্প সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্যে আরও দেখা গিয়েছে, সেরিনা বিবির নামে এক মহিলাকে অন্তত ২৯টি শৌচাগার বানানোর টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ও আইনজীবী মানস দাস আদালতে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আবাসের প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া নাগরিককে ছবি-সহ ওই বাড়ির ছবি দিতে হয়। কিন্তু রাজ্যে দেখা গেছে, ফর্মে থাকা ছবির সঙ্গে গ্রাহকের কোনও মিল নেই!
রিপোর্ট তলব রাজ্যের
এই কারচুপির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে আদালত। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। আর এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।
আবাস যোজনায় বিরাট দুর্নীতি!
এমনিতে আবাস যোজনায় টাকা না পাঠানো নিয়ে বারবার কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বাংলার সরকার। তবে এবার মগরাহাটের ১ নম্বর ব্লকের উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতে বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ি বানানোর টাকার তছরূপ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগকারীর বক্তব্য, পঞ্চায়েত প্রধান ভুয়ো নথির মাধ্যমে স্বজনপোষণ ও প্রকল্পের টাকা তছরূপ করে চলেছেন।