বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাংলায় থেকে এমন অবস্থা হয়েছে CBI-এর! স্টেট ও UCO ব্যাঙ্কের দুই শাখায় কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তোপের মুখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দুই ব্যাঙ্কের ভিন্ন শাখায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলার রায়দান চলাকালীন CBI কর্তাদের দুষলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
CBI-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট!
রাজ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক ও UCO ব্যাঙ্কের দুই শাখায় কয়েক কোটির দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI-কে তুলোধোনা করল হাইকোর্ট। গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, সিবিআই কি কাজ করবে না বলে এমন করছে? এই প্রশ্নের পরই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি ঘোষ।
CBI কর্তাদের উদ্দেশ্যে বিচারপতির সংযোজন, বাংলায় থেকে CBI-এর এমন অবস্থা হয়েছে! সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় হয়েছে, এখানে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন কীসের? এদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একের পর এক প্রশ্নবান ছুড়তে থাকেন বিচারপতি।
রাজ্যের অনুমতি নিয়ে ক্ষুব্ধ বিচারপতি?
এদিন গোয়েন্দা আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর জানান, ব্যাঙ্কের টাকা নয়ছয় হওয়ার অভিযোগ পাবলিক সার্ভেন্ট যুক্ত, এই যুক্তিতে কেন রাজ্যের অনুমতি চাওয়া হচ্ছে? এই একই ভুল যদি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও হয়, অর্থাৎ ব্যাঙ্কও যদি রাজ্যের কাছে অনুমতি চায় তাহলে সেটি ডাস্টবিনে গিয়ে পড়বে। কারণ, এক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই।
উচ্চ আদালতের বিচারপতি আরও বলেন, SBI, UCO সহ অন্যান্য রাষ্ট্র ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা থাকলে সে ব্যাপারে রাজ্যের কোনও অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। এ প্রসঙ্গে বিনয় মিশ্রের কথা স্মরণ করান বিচারপতি। বলেন, কয়লা পাচার মামলায় বিনয় মিশ্রকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছে এই বিষয়ে। সব শেষে নিজের মত ধরে রেখে বিচারপতি ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে, পাবলিক সেক্টর আন্ডার টেকিং বা পাবলিক সেক্টর সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে FIR করার জন্য রাজ্যের অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। এজন্য অপেক্ষা কীসের?
পাল্টা উত্তর CBI পক্ষের আইনজীবী মজুমদারের
এদিন আদালতের কাছে তীব্র ভৎসনার পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার প্রশ্ন করেন, CBI FIR দায়ের করে রাখার পর যদি ব্যাঙ্ক বলে এটা দুর্নীতি মামলা নয় তখন কী করণীয়? মূলত এই জটিলতার জন্যই নাকি CBI এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। আদালতকে তিনি বলেন, এমনিতেই CBI-এর মামলায় চাপ বেশি, সেই নিরিখে লোক অনেক কম।
আরও পড়ুন: সাইকেলে করে খাবার বিক্রি করে আজ ১০০০০০০০০০ কোটির ব্যবসা! চেনেন সীতারামকে?
তাই কোর্ট অর্ডার দিলে ব্যবস্থা নিতে সমস্যা নেই বলে জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী। উত্তরে বিচারপতি বলেন, FIR রুজু করার আগে প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলিকে গোটা বিষয় জানাতে হবে। তাদের অসুবিধা থাকলে তাও জানাতে হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে দ্রুত FIR করতে হবে CBI কর্তাদের। এদিন মূলত কড়া ভাষাতেই একাধারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গেছে আদালত।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |