দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিরাট রায় দিল হাইকোর্ট, খুশিতে লাফাচ্ছেন বাংলার মানুষ

Published on:

jagannath-mandir-digha

কলকাতাঃ আর মাত্র হাতে দুটো দিন, তারপরেই শুরু হবে রথযাত্রা উৎসব। ইতিমধ্যে কাউন্টডাউন অবধি শুরু করে দিয়েছেন বাংলা থেকে শুরু করে ওড়িশার মানুষজন। প্রতি বছর রথযাত্রার সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ওড়িশার রথযাত্রা দেখতে সেখানে হাজির হন। যদিও এবার এই ভিড় অনেকটাই বাংলাতেও আসবে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। কারণ একদম পুরীর আদলে দিঘাতেও তৈরি হচ্ছে চোখ ধাঁধানো জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দির নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছে সরকার থেকে শুরু করে বাংলার মানুষজন। যদিও এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। রথযাত্রায় দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দির উদ্বোধন হবে কিনা তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা হিল। তবে আর কোনও চিন্তা রইল না, কারণ এমনই এক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট যা শুনে সকলেই চমকে গিয়েছেন।

বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের

আগামী ৭ জুলাই রয়েছে রথ। কিন্তু তার আগে বৃহস্পতিবার এই জগন্নাথ মন্দির নিয়ে মামলা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে উঠেছিল। বিচারপতি এমন এক নির্দেশ দিয়েছেন যারপরে দিঘায় জগন্নাথের মন্দির তৈরির ক্ষেত্রে আর কোনওরকম আইনি বাধা থাকল না। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার দায়ভার রয়েছে হিডকোর কাঁধে। যদিও এই নিয়ে অনেকেই আপত্তি তুলেছিলেন। দায়ের হয়েছে মামলা। মামলাকারীদের যুক্তি ছিল, ‘হিডকো শুধু রাজারহাট উন্নয়নের কাজ করতে পারে। এর বাইরে পরিকাঠামো উন্নয়ন করার ক্ষমতা হিডকোর নেই।’ অবে এই দাবিকে যুক্তিহীন বলেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি রায় দিলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগ বিভিন্ন কাজ করতেই পারে। এতে কী ভুল রয়েছে? পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত রাজ্যের। তারা যে কোনও বিভাগকে দায়িত্ব দিতে পারে। এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই।’ ব্যস আর কী, আর দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির ক্ষেত্রে কোনওরকম বাধা বিপত্তি থাকল না।

দিঘায় কেমন হবে জগনাথ মন্দির

প্রশাসন সূত্রে খবর, দিঘায় সমুদ্র সৈকতের কাছে প্রায় ২০ একর জমির উপর মন্দিরটি ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন দ্বারা নির্মিত হচ্ছে। গোটা মন্দিরটি লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে। যা আনা হয়েছে রাজস্থান থেকে। মন্দিরের শোভা আরও প্রস্ফুটিত করতে একটি ফোয়ারা এবং লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওল্ড দিঘা স্টেশন সংলগ্ন নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কের এই নতুন জগন্নাথ মন্দির থেকে পুরনো জগন্নাথ মন্দির অর্থাৎ ওল্ড দিঘার সমুদ্র সৈকতের কাছে যে জগন্নাথ মন্দির রয়েছে, সেই স্থান পর্যন্ত রওনা দেবে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। এছাড়া এখানে রয়েছে একটি বিশাল রথ, যেটি টানার জন্য হাজার হাজার মানুষ অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন।

হকারদের কড়া বার্তা

সে সমুদ্র সৈকত হোক কিংবা মন্দির চত্ত্বর, হকারদের ‘নো এন্ট্রি’। হকারদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছে প্রশাসন, যা উপেক্ষা করলেই আর কারোর রক্ষে থাকবে না। সাফ সাফ জানানো হয়েছে, জগন্নাথ মন্দির থেকে পুরনো জগন্নাথ মন্দির পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারের দোকানপাট, রাস্তার ধারে পার্কিং করা গাড়ি সমস্ত কিছু সরিয়ে নিতে হবে।

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X