প্রীতি পোদ্দার, কলকাতাঃ জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ৩১ নং জাতীয় সড়কের ধারে দ্রুত এগিয়ে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ। কিন্তু কাজের সময় এগিয়ে এলেও সমস্যা হল কলকাতা হাইকোর্টের জমিতে এখনও অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বসতি। মাস কয়েক আগে হাইকোর্টের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে বিচারপতিদের নজরে আসে নির্মিয়মাণ কোর্ট ভবন সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে রয়েছে একটি বসতি। এলাকা খালি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই নির্দেশ মেনে সঙ্গে-সঙ্গে ওই এলাকার সাতটি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার নোটিস দেয় প্রশাসন। কিন্তু কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও সরে যাননি বাসিন্দারা।
বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে বসতি
এরপর গতকাল অর্থাৎ বুধবার জলপাইগুড়ি সদর বিডিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী উক্ত এলাকায় যায়। উচ্ছেদ অভিযান করতে গেলে বসবাসকারীরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় এই জায়গা সম্পূর্ণটাই বৈধ ভাবে হাইকোর্টের। যদি সাত দিনের মধ্যে পরিকাঠামো সরিয়ে না নেওয়া হয় তবে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে। যা শুনে রীতিমত চোখে মুখে আতঙ্ক তৈরি হয় বাসিন্দাদের। কীভাবে কী করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারে না।
প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত
এই প্রসঙ্গে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা আমিনা বেগম, সাব্বির ইসলাম জানান, “আমরা আগে জানতাম না এখানে হাইকোর্ট হবে। মাত্র তিন মাস আগে আমাদের নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু এত অল্প সময়ে আমরা কোথায় যাব। পুনর্বাসন চেয়ে বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছি। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। আজ আবার বিডিও, পুলিশ সাত দিনের মধ্যে জায়গা খালি করার জন্য বলছে।”
সদর বিডিও মিহির কর্মকার এই বিষয়ে জানান, “হাইকোর্টের জায়গা দখল করে রেখেছে এই পরিবারগুলি। তিনবার নোটিস দেওয়া হয়েছে। তারপরেও ওঠেনি। আজ বলছে দ্রুত জায়গা খালি করে দেবে।”