পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেবী সরস্বতী বন্ধনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল। ইতিমধ্যেই মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court)। হাতে মাত্র ১ দিন বাকি পুজোর জন্য, এরই মধ্যে যোগেশচন্দ্র আইন কলেজ নিয়ে নির্দেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে কী পুজো হবে? হলে কিভাবে? জানতে প্রতিবেদনটি শেষ অবধি পড়ুন।
ব্যাপারটা কি?
গোটা ঘটনার সূত্রপাত যোগেশচন্দ্র কলেজের সরস্বতী পুজোকে ঘিরে। আইন ও ডে কলেজের ক্লাস একই ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়। ফলে আইন কলেজের তরফ থেকে পুজো করতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলাকারদের অভিযোগ, যে জায়গায় তারা এতদিন ধরে পুজো করে এসেছেন সেখানে দখল দেওয়া হয়েছে ডে কলেজের তরফ থেকে, এমনকি অস্থায়ী নির্মাণও হয়েছে।
এদিকে ডে কলেজের তরফ থেকে জানায় হয়, বহিরাগতরা এই অস্থায়ী নির্মাণ বানিয়েছে। কলেজে বহিরাগত প্রবেশনিষেধ থাকলেও সম্প্রতি সেটা বেশ কিছুটা বেড়েছে। তবে এবার কোর্টে উঠতেই মামলার সমাধান হল, যদিও সম্পূর্ণ শুনানি হয়নি। আজ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাকি অংশের শুনানির জন্য নয়া তারিখ দেওয়া হয়েছে।
যোগেশচন্দ্র আইন কলেজের পুজো নিয়ে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
আজ অর্থাৎ ৩১শে জানুয়ারি কলকাতা হাই কোর্টের তরফ থেকে যোগেশচন্দ্র কলেজে সরস্বতী পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে একটি শর্ত রয়েছে। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, পুজো হবে ঠিকই তবে সেটা হবে পুলিশের উপস্থিতিতে। পুজোর সময় যাতে কোনো বহিরাগত কলেজে এসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না করে সেদিকে নজর রাখবে পুলিশ। কলেজে নজরদারির জন্য লালবাজারের যুগ্ম কমিশনারকে নিদর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এবার মিলবে ১ লক্ষ টাকা! সিভিক ভলিন্টিয়ারদের নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের
কোর্টের আদেশে ভাঙা হবে অস্থায়ী নির্মাণ
কলেজ চত্বরে যেখানে সরস্বতী পুজো হয় সেখানেই নাকি অস্থায়ী নির্মাণ করেছিল কিছু বহিরাগতরা। সেই নিয়েই শুরু সমস্যার, যা কোর্ট অবধি পৌঁছেছে। এবার সেই অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোর্টের তরফ থেকে। চারু মার্কেট থানার তত্ত্বাবধানে অস্থায়ী নির্মাণ ভাঙা হবে। আর গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার বকি শুনানির জন্য নতুন করে বুধবারের দিন ধার্য্য করা হয়েছে।