প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিগত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য ক্রমশই মামলার শুনানি জটিল করে তুলছে। প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। তবে এই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি যে শুধু তৃণমূলের আমলেই হয়েছে তা কিন্তু নয়। এবার নিয়োগ দুর্নীতির কালো অন্ধকার ধরা পড়ল সিপিএম আমলেও। আর এবার সেই নিয়ে বড় নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
বাম আমলেও চাকরি দুর্নীতি
জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে বাম আমলে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছিল কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। কিন্তু সেই এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ডেও লুকিয়ে ছিল দুর্নীতি। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী নাকি এই ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছিল। এবার সেই নিয়ে মামলা করা হল হাইকোর্টে। গতকাল ছিল এই মামলার শুনানি। আর সেই শুনানিতেই জানা গিয়েছে ২০০৯ সালে ভুয়ো এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করার জন্য উত্তর ২৪ পরগনায় ২৬ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। তবে সংখ্যাটা এখানেই থেমে থাকবে না, আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিচারপতি।
CID কে তদন্তের নির্দেশ বিচারপতির
তাই এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CID তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এছাড়াও বিচারপতির পর্যবেক্ষণ অন্য জেলাগুলিতে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তাই সব জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলকে ২০০৯ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের এক্সচেঞ্জ কার্ড খতিয়ে দেখতে বলল হাইকোর্ট। যদি এই ঘটনায় বৃহত্তর জালিয়াতির ইঙ্গিত পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনে সিট গঠন করা হতে পারে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ২০০৯ সালের ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় CID-র কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে পরবর্তী শুনানির দিন ওই বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে CID কে। জানা গিয়েছে আগামী ২৭ জানুয়ারি ওই সব কার্ড যাচাই করে রিপোর্ট দিতে হবে শিক্ষা দফতরের কমিশনারকেও। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
কর্মীদের তুলনায় ৫৩৪ গুণ বেশি, কত বেতন পান ৯০ ঘণ্টা কাজের নিদান দেওয়া L&T-র চেয়ারম্যান?