প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অভিযোগ উঠেছে আবাসিক স্কুল কর্তৃপক্ষের অত্যাচারেই নাকি হয়েছে ছেলের মৃত্যু! কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে অন্যকিছু। তাই বাড়িতেই ফ্রিজার বানিয়ে দেহ সংরক্ষণ বাবা-মায়ের। সুবিচার না মিললে দেহ সৎকার নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অবশেষে মিলল হাইকোর্টের সম্মতি।
ঘটনাটি কী?
‘Aajtak’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃত নাবালক মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনিচরের হীরানন্দপুরের কেদারটোলার বাসিন্দা। সেখানকার মানিকচকের একটি মিশনারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। ২ জুলাই রাতে স্কুলের হোস্টেলে তার রহস্যমৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে ছেলের। এরপর ওই ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্ত হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেই রিপোর্টে আত্মহত্যার কথা জানা যায়। তবে সেই কথা মানতে নারাজ পরিবারের।
ফ্রিজে সংরক্ষণ ছেলের মৃতদেহ
ছেলের সঠিক বিচারের দাবিতে এবং সঠিক ময়নাতদন্তের দাবি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় গোটা পরিবার। সেক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তাই ছেলের দেহ সৎকার না করে বাড়িতেই ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন নাবালকের বাবা-মা। বরফ জড়িয়ে বাক্সবন্দি করে রাখা হয়েছে দেহ।
এদিকে ঘটনায় মৃতের বাবা প্রেমকুমার মণ্ডল এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দাবি করেছেন যে, স্কুল কর্তৃপক্ষের অত্যাচারেই মৃত্যুর হয়েছে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত ছেলের। তাই, অবিলম্বে সেই বেসরকারি স্কুলের মালিক তথা প্রধান শিক্ষক সাজির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হোক।
আরও পড়ুন: বীরভূমে আটক UP-র শিবভক্তদের বাস! পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
অবশেষে হাইকোর্টের সম্মতি
এদিকে পরিবারের আবেদনে সাড়া দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১৫ দিন ধরে বরফ চাপা দিয়ে ছেলের দেহ আগলে রাখার পর শেষপর্যন্ত মালদার মানিকচকের সেই কিশোরের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। জানা গিয়েছে আজ দুপুরের মধ্যে মানিকচক থানার তদন্তকারী অফিসার ছাত্রের দেহ কল্যাণী AIIMS-এ নিয়ে যাবে।
সেখানে ময়নাতদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করা হবে। যদি দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আলাদা হয় তখন তদন্তকারী অফিসারকে জানাবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |