পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ ফের একবার রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কলকাতার নিউটাউন এলাকার এক প্রোমোটারের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ জমা পড়ে। বর্তমানে সেই মামলা হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের কাছে বিচারাধীন। এদিন মামলার শুনানির সময় খোদ বিচারপতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কড়া মন্তব্য করেছেন।
রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ কলকাতা হাইকোর্ট
প্রোমোটারের বিরুদ্ধে জমি দখলের মামলার শুনানি ছিল শনিবার। সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। তারপরেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘আইসিকে না সরানো হলে আমিই পদক্ষেপ নেব। আমিও দেখতে চাই, এই পুলিশ অফিসারের পিছনে কার হাত রয়েছে।’
এদিন বিচারপতি আরও জানান, ‘নিউ টাউনের মত এলাকায় দেশ-বিদেশ থেকে নানান কোম্পানির বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চলছে। তাদের বাংলায় এনে তথ্য প্রযুক্তি হাব তৈরির চেষ্টা চলছে নিউ টাউনে। সেখানেই কি না এমন একজন পুলিশ অফিসার দায়িত্বে আছেন, কেন? রাজ্য কি নিজেই নিজের সন্মানহানি করতে চায়?
উঠে আসে ওসির পুরোনো রেকর্ড
মামলার বিচার চলাকালীন শুধুমাত্র ক্ষোভ প্রকাশ নয়, উক্ত পুলিশ অফিসারের পুরোনো রেকর্ড নিয়েও মন্তব্য করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বলেন, এই পুলিশ অফিসার এর আগে বাগুইহাটি থানায় ছিলেন সেখানে দুই শিশু নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর তাদের দেহ উদ্ধার হয়। তখনও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই। এছাড়াও একইদিনে তিনটি গাড়ি চুরির অভিযোগ হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।
রাজ্যের পদপক্ষেপে বিচারপতি প্রতিক্রিয়া
যেমনটা জানা যাচ্ছে, পুলিশ কমিশনার নাকি নিজে এই আইসিকে ডেকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু এতকিছুর পরেও শুধুমাত্র সতর্ক করা হল! এই শুনেই বিস্মিত খোদ বিচারপতি। রাজ্য উক্তি আইসির বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেবে সেটা পরবর্তী শুনানিতে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। এখন অপেক্ষা আগামী ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত। পরবর্তী শুনানিতেই জানা যাবে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।