সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এখন বিপাকে পড়েছেন রাজ্যের এক মহিলা পুলিশ অফিসার। তারকেশ্বর থানার ওই মহিলা অফিসার ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরে, উপযুক্ত প্রমাণের নিরিখে প্রমাণিত হয় ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ। মামলা এখন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারাধীন।
রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
মিডিয়া রিপোর্টে দাবি, ওই পুলিশ অফিসার যে ঘুষ চেয়েছিলেন সেটা সত্যিই, পুলিশ নিজেই সেই অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে খবর। প্রমাণ হিসেবে রয়েছে ফোনের কল রেকর্ডিং। সরকারি আইনজীবী বলেছেন যে অফিসার ঘুষ নেননি, চেয়েছিলেন মাত্র! তাতেও কি অপরাধকে লঘু করে দেখা সম্ভব? মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতির প্রশ্ন, “শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা কেন? চাকরি তো থাকারই কথা নয়! পুলিশ যদি টাকা চায়, সাধারণ মানুষ কাকে ভরসা করবে?” প্রশ্ন করা হয়েছে রাজ্য সরকারকেও। আদালতের সওয়াল, “যে অফিসার ঘুষ চায়, তিনি তদন্ত করছেন কীভাবে? এটা কি সরকারের নীতি?” আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন পুলিশকে ফের জমা দিতে হবে রিপোর্ট।
ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে?
ঘটনার সূত্রপাত স্থানীয় এক বিবাদকে কেন্দ্র করে। বিল্টু হাজরা নামে এক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে শুরু হয়েছিল প্রতিবেশীর বিবাদ। জল গড়ায় থানা পুলিশ পর্যন্ত। পুলিশি হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হওয়া দূর অস্ত, বিষয়টি আরও জটিল হয় বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী।
বিল্টু হাজরার অভিযোগ, প্রতিবেশী তাঁর নামে একটি মহিলা সংক্রান্ত পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বিল্টুর কাছে ঘুষ দাবি করে মহিলা অফিসারের ফোন আসে বলে অভিযোগ। উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে অভিযোগকারী সেই ফোনের কথপোকথন রেকর্ড করে রাখেন এবং পরে সেটি জমা দেন আদালতে। বিষয়টি আপাতত বিচারের পর্যায়ে রয়েছে।