শ্বেতা মিত্র, বাঁকুড়াঃ বাংলায় এখন শীতের মরসুম চলছে। আর এই সময়ে অনেকেই আছেন আছেন যারা দু একদিনের ছুটি হাতে পেলে কলকাতার কাছেপিঠে ঘুরে আসেন। বিশেষ করে ভ্রমণপ্ৰিয় বাঙালি এই শীতের সময়ে বাঁকুড়া, বীরভূম, দীঘা ঘুরতে যান। তবে এই শীতে কী আপনি বিশেষ করে বাঁকুড়া ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে আজই সাবধান হয়ে যান। কারণ এখন বাঁকুড়ায় এমন এক জিনিস পাওয়া গিয়েছে যা কিনা মাংস খায়! হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন! এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কোনো জন্তু এল কিনা? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
বাঁকুড়ায় হৈ চৈ
বাঁকুড়া গিয়েছেন অথচ কেউ সোনামুখী (Sonamukhi) জঙ্গলের সম্পর্কে শোনেনি বা সেখানে যাননি সেটা তো হতেই পারেনা। কিন্তু এখন এই সোনামুখী জঙ্গলেই এমন কিছু জিনিস পাওয়া যাচ্ছে যা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। আসলে অ্যামাজন জঙ্গলের মতো এবার এখানেও এমন এক মাংসাশী উদ্ভিদের দেখা মিলেছে, যার পরে সকলেই এখন রীতিমতো শিহরিত।
বিশেষ করে আপনারও যদি এই উইকেন্ডে বাঁকুড়া ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়ে থাকে তাহলে তা বাতিল করতে পারেন। আর যদি সেখানে যাবেনই বলে ঠিক করেছেন তাহলে এই সোনামুখী জঙ্গলে না ঢোকাই আপনার জন্য সুখকর হবে।
আমাজনের মাংসখেকো ‘সূর্যশিশির’ এবার বাঁকুড়ায়!
আসলে বাঁকুড়ায় এবার আমাজনের মাংসখেকো ‘সূর্যশিশির’-এর দেখা মিলেছে। এটি পতঙ্গভূক উদ্ভিদ। সুদূর আমাজনের জঙ্গলে এটিকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে সেটি বাঁকুড়ায় কীভাবে হল তা ভাবাচ্ছে সকলকে। বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘ড্রসেরা বার্মানি’। এটি এক ধরনের মাংসভূক উদ্ভিদ। এরা মূলত জঙ্গলঘেরা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় জন্মায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে সোনামুখী রেঞ্জের বড় নারায়ণপুর মৌজার গভীর জঙ্গলে এই উদ্ভিদের সন্ধান পান কিছু মানুষ। এটিকে দেখে স্বাভাবিককেই কেউ কেউ হকচকিয়ে যান তো আবার কেউ কেউ ভয় পেয়ে যান।যাইহোক, সময় নষ্ট না করে খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। এরপর বনাধিকারিকরা ওই জায়গায় পৌঁছে এই উদ্ভিদটিকে শনাক্ত করেন ও এর রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করেন। এটি একটি মাংসাশী উদ্ভিদ। এরা বড় বড় উইপোকা, পিঁপড়েরা এদের সংস্পর্শে এলেই এদের কব্জা করে নেয়। এরপর তাদের কার্যত গলিয়ে নির্যাস বের করে নিয়ে খাদ্য সংশ্লেষ করে। এ কারণেই এদের মাংসাশী উদ্ভিদ বলে।