‘ফেল’ হয়েও একই দিনে সকলের চাকরি! নিয়োগ দুর্নীতিতে CBI-র নজরে পাঁচু রায়,

Published on:

CBI

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি থেকে শুরু করে টেট এবার এখন দোসর হয়েছে পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তের পাশাপাশি এই পুর নিয়োগের দুর্নীতির তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পাচ্ছে সিবিআই। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। এবার পুর নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে একটি চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি করেছে সিবিআই। এই চার্জশিটে উঠে এসেছে পাঁচু রায়ের নাম, যার তথ্য ফাঁস করেছে সিবিআই।

পাঁচু রায়কে নিয়ে বিস্ফোরক সিবিআই

সিবিআই সূত্রে হবর, ২০২০ সালে দমদম পুরসভায় একই দিনে ২৯ জনের নিয়োগ হয়েছিল। তবে এদের মধ্যে সকলেই নাকি ফেল করেছিলেন, তারপরেও নাকি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁরা।মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করেও নাকি মজদুর পদে একই নম্বর পেয়েছিলেন এই ২৯ জন। আর তাঁদের পাশ করিয়েছিলেন পেশায় প্রোমোটার আয়ন শীল থেকে শুরু করে পাঁচু রায়। এই পাঁচু গোপাল রায়ের হাত থেকেই নাকি জয়েনিং অর্ডার বেরিয়েছিল। আর এই নিয়েই এবার বড়সড় প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

ফেল করেও পাশ!

কী করে সবাই ফেল করেও পাশ হয়ে গেলেন, সেই রহস্য ভেদ করতে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সিবিআই। মজদুর পদের পাশাপাশি পিয়ন পদেও লেখা পরীক্ষায় একই নম্বর পেয়েছিলেন ২ জন বলে অভিযোগ। ওই দিন ২৯ জনের মধ্যে মজদুর পদে চাকরি পেয়েছিলেন ২৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় তাঁরা প্রত্যেকে ৫৫ নম্বর পেয়েছিলেন। এদিকে মৌখিক পরীক্ষায় সবাই ফেল করেছিলেন। এছাড়া দু’জন পিয়ন পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা দুজনেই লিখিত পরীক্ষায় পেয়েছিল ৭৫, তাঁরাও মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন বলে দাবি সিবিআই-এর।

সিবিআইয়ের অনুমান, এখানে টাকার একটা বড় রকমের খেলা হয়েছে। এই পাঁচু গোপাল রায় হলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। সিবিআইয়ের দাবি, তাঁর তত্ত্বাবধানে পুর নিয়োগে বিরাট বড় দুর্নীতি হয়েছে। সিবিআই-এর দাবি অনুযায়ী, যে সংস্থাকে পরীক্ষার বরাত দেওয়া হয়েছিল, সেই সংস্থার কর্তা তথা অভিযুক্ত অয়ন শীলই নিজে প্রশ্ন তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥