প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুর্নীতি (RG Kar Corruption Case) মামলা। আর এই মামলায় ফের ঘোর প্যাঁচে পড়ল মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। অস্বস্তি বাড়ল চার্জ গঠনের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে। কারণ এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI এর হাতে সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠে এল একরাশ দুর্নীতির প্রমাণ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ সঞ্জয়ের
গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরত এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। যার দরুন এই ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। নির্যাতিতার পরিবার এবং সাধারণের চাপে শেষপর্যন্ত এই তদন্তভার চলে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI এর হাতে। আর তখনই গ্রেফতার করা হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পেয়ে বর্তমানে সঞ্জয় রয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে।
উঠে এল ১৬ জন সাক্ষীর বয়ান
তবে শুধু সঞ্জয় নয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এবং হাসপাতালে সীমাহীন দুর্নীতর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ আরও পাঁচজনকে। গ্রেফতারির পর চলতি বছরের শুরুতেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দীপ ঘোষ সহ এই পাঁচজন চার্জ গঠনের প্রক্রিয়ার শুনানিতে এই ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিল। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আবেদনের মাঝেই সিবিআইয়ের কাছে উঠে এল ১৬জন সাক্ষীর বয়ান।
সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, CBI তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক চিকিৎসকের বয়ান নথিবদ্ধ করেছিল। সেই সঙ্গেই নন মেডিক্যাল অফিসার যারা রয়েছেন তাঁদের একাংশের কাছ থেকেও বয়ান নিয়েছিল সিবিআই। আর সেই বিস্ফোরক বয়ানগুলি পেশ করা হয় আদালতের কাছে। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন চিকিৎসক, মেডিক্যাল ও নন মেডিক্যাল অফিসাররা। মূলত টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি, পার্কিং স্পেস ও ক্যাফেটেরিয়ার জন্য পছন্দের লোককে দেওয়ার নাম করে কাটমানি সহ নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট রুখতে তোরজোড়, পোর্টাল বদলে দিল রাজ্য সরকার
যদিও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও এমন অভিযোগ ভুরি ভুরি উঠে এসেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI এর হাতে। কারণ তখন এই সন্দীপ ঘোষকে আড়াল করা হচ্ছিল এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। রিপোর্ট মোতাবেক জানা গিয়েছে ৫ মাস আগে সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছিল টালা থানায়। এরপর তদন্তও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত এপ্রিল মাসে সন্দীপ ঘোষকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। এরপর সেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে সিবিআই। নয়া মোড় নিল এই তদন্ত।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |