নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় কাণ্ড ফাঁস CBI-র, প্রকাশ্যে এল আরেক নাম! তোলপাড় রাজ্যে

Published on:

cbi

https://banglahunt.com/primary-recruitment-scam-cbi-claims-where-the-original-omr-sheet-actually-gone-sdh/

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি, পরীক্ষায় কারচুপি, এখন যেন বাংলায় এইসকল ঘটনা জল ভাতের সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতিকাণ্ডকে কেন্দ্রীয় করে সরগরম হয়েছে রয়েছে সমগ্র বাংলা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বহু হেভিওয়েট জেলবন্দী হয়েছে রয়েছেন। এসএসসি নিয়োগ থেকে শুরু করে টেট পরীক্ষায় দুর্নীতির ঘটনায় তদন্ত করছে ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থা। এসবের মাঝেই কিন্তু এবার ২০১৪ সালের হওয়া টেট পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট নিয়ে অনেক বড় কারচুপির কথা প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। আর যা নিয়ে আদালতের রোষের মুখে পড়তে হল সিবিআইকে।

হাতুড়ি দিয়ে নষ্ট করা হল তথ্য

টেট নিয়োগে দুর্নীতিতে হাতুড়ি দিয়ে তথ্য নষ্ট করা হয়েছে বলে আদালতে জানালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন একদম। এমনকি ওএমআর শিটগুলি কিলো দরে বিক্রি হয়েছে বাজারে। আদালতে এমনই কিছু বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছে সিবিআই। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সব তথ্য খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআইকে। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয় সিবিআই। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সিবিআইকে নির্দেশ দেন ওএমআর উদ্ধারের জন্য অন্য একটি সংস্থাকে নিয়োগ করতে । এরপরেই সিবিআই জানায় যে ওই ওএমআর শিটের আসল তথ্য আর নেই।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আদালতে বিস্ফোরক CBI

সিবিআই আদালতে সাফ সাফ জানায় যে, যে সার্ভারে উত্তরপত্রের নথি রাখা হয়, ২০১৭ সাল নাগাদ তা বদলে ফেলা হয়। যে হার্ড ডিস্কে তথ্য ছিল, সেটা ২০১৭-১৮ সালে হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আর তারপর দাবি করা হয় যে সার্ভার ‘ক্র্যাশ’ করেছিল। দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্তদের জেরা করে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অংশীদার গৌতম মাজি ওই হার্ড ডিস্ক ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআই- এর দাবি, টেক্সট ফাইল হিসাবে ওএমআরের যে নথি সংরক্ষণ করা হয়েছিল তা সময়ে সময়ের সাথে বদলে দেওয়া হয়। আসল তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে।

কিলো দরে বিক্রি হয়েছে ওএমআর শিট

সিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পারে যে ওএমআর শিট কিলো দরে বিক্রি হয়েছিল। ওড়িশায় মণ্ড তৈরি করে তা নষ্ট করা হয়েছে। তবে বিক্রির আগে ওএমআর এর সফ্ট কপি তুলে রাখা হয়েছিল কম্পিউটারে। ওএমআরের স্ক্যান করে ADF করে সেই ওএমআরের pdf বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সেকনিক যন্ত্রের সাহায্যে গোটা কাজ করা হয়।

সিবিআই এর দাবি, ওএমআরের সমস্ত তথ্য ছিল ওই সংস্থার হাতেই। এই সংস্থার অনেকেই জেলে বন্দি।

যাইহোক, গত শুক্রবার এই মামলায় বিরাট রায় দেন। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ অনুযায়ী, দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির কোনো সংস্থা, উইপ্রো কিংবা টিসিএস-এর মতো সংস্থারও সাহায্য নিতে পারে সিবিআই। এখন আগামী দিনে কী হয় সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group