পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ প্রাথমিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সিবিআই হেফাজতে ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই সময় নাকি খাওয়াদাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। ভাত-রুটি তো দূর ওষুধ পর্যন্ত খেতে চাইছেন না। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই কিছুদিন পর শারীরিক সমস্যা দেখা যায়, এরপর শনিবারেই CBI এর আইনজীবী আদালতে সবটা জানান। একইসাথে জানান তাকে আর হেফাজতে রাখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
জেলে খাওয়াদাওয়া শিকেয় তুলেছেন কালীঘাটের কাকু
বিগত মঙ্গলবার রাতের বেলায় সিবিআই হেফাজতে যান সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আজ অর্থাৎ শনিবার সেই মেয়াদ ফুরিয়েছে। এদিন ফের কোর্টে মামলা উঠলেও পুনরায় তাকে হেফাজতে নেওয়া বা আর্জি বাড়ানোর কোনো আবেদন করা হয়নি CBI এর তরফ থেকে। বদলে তাকে জেলে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়। কারণ যে কদিন সিবিআই এর কাছে ছিলেন সেই কদিন ওষুধ থেকে সাধারণ খাওয়া কোনোটাই করেননি। যার ফলে ব্লাড সুগার জনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই।
জেরায় সাহায্য করেননি সুজয়কৃষ্ণ অভিযোগ CBI এর
এদিন আদালতে সিবিআই এর তরফ থেকে জানানো হয়, হেফাজতে থাকাকালীন জেরায় মোটেই সহায়তা করেননি তিনি। বারেবারে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, কতটাকা নেওয়া হয়েছিল জিজ্ঞাসা করা হলেও কিছুই বলেননি তিনি। এমনকি সরকারি আধিকারিকদের নামও নেননি। বদলে বিভ্রান্তিকর কিছু তথ্য দিয়েছেন। CBI এর এই যুক্তির পাল্টা কোর্টের মন্তব্য, ‘এই তথ্য আগে থেকেইজনে। তাছাড়া জেরায় সাহায্য করা মানে এই নয় যে যা জিজ্ঞাসা করা হবে তাতেই হ্যাঁ বলতে হবে।’
জামিন নামঞ্জুর কোর্টের
প্রায় দেড়বছর ধরে জেলবন্ধ রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। এদিন তার উকিল জামিনের আর্জি জানান। এমনকি গৃহবন্ধী করার আর্জিও জানানো হয়। কিন্তু সেই আবেদনে সারা দেননি বিচারপতি। তাই আপাতত জামিন মিলছে না সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। কোর্টে CBI এর তফফ থেকে নতুন করে ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করার জন্য আবেদন করা হয়। এর পর অভিযুক্তের উকিল প্রশ্ন করেন তাহলে মঙ্গল থেকে এতদিন কি করা হল?