কলকাতাঃ ২৪-এর লোকসভা ভোটের নতুন করে আরও সক্রিয় হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। আবারও একবার সিবিআইয়ের র্যাডারে রাজ্যের শাসক দলের নেতা। আর এই নেতা অন্য কেউ নন, তিনি হলেন দেবরাজ চক্রবর্তীকে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নতুন করে দেবরাজকে তলব করল সিবিআই।
সিবিআইয়ের তলব
আজ বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারই তৃণমূল নেতাকে নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে আজ দেবরাজ চক্রবর্তী সিজিও-তে হাজিরা দেবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা সম্ভব হয়নি। এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের তদন্তে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআইয়ের একটি দল। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিলেন তৃণমূলের দেবরাজ চক্রবর্তী এবং বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে।
জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে জানা গেছে। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০২২ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলে রয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেবরাজ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দেবরাজ চক্রবর্তী আবার তৃণমূল বিধায়ক এবং বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সির স্বামী। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেবরাজের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ ৬০ টাকার লটারিতেই কোটিপতি! পুরস্কারের টাকায় সমাজসেবা করতে চান বাঁকুড়ার দিনমজুর
সেইসময়ে সিবিআই বলেছিল যে, “২০২৩ সালের নভেম্বরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় বাজেয়াপ্ত করা দেবরাজ চক্রবর্তীর ব্যাংক স্টেটমেন্টে বেশ কয়েকটি আর্থিক লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে ইডি। সেই সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, যদিও তিনি দেবরাজ চক্রবর্তী সেই সমস্ত প্রশ্নের পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।”