ধর্ষণের আগে গণপিটুনি? নির্যাতিতার শরীরে ২৪ টি আঘাতের চিহ্ন, আরজি কর কাণ্ডে বড় দাবি CBI-র

Published on:

rg kar case

প্রীতি পোদ্দার: দেখতে দেখতে তদন্তের ১ মাস পার। কিন্তু এখনও আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় অধরা অভিযুক্তরা। তবে তদন্ত ঘিরে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসছে খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের মৃত তরুণী চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত এবং সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে বড় আপডেট সামনে তুলে ধরা হয়েছে CBI আধিকারিকদের সূত্রে।

মৃতার শরীরে ২৪ টি আঘাতের চিহ্ন

WhatsApp Community Join Now

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের সামনের অংশে ১৫টি গুরুতর শরীরের বাইরে জখমের চিহ্ন মিলেছে। ময়নাতদন্তের সময় মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের পরে ন’টি গুরুতর অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। অথচ ময়না তদন্ত এবং সুরতহাল রিপোর্টে নির্যাতিতার দেহের পিছনের অংশে কোনরকম আঘাতের উল্লেখ করা হয়নি। এদিকে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করার আগেই মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। তবুও রিপোর্টে থাকা ক্ষতচিহ্নগুলির ছবি ফরেন্সিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। আর সেই ছবির ভিত্তিতে ওই খুনের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়াও রিপোর্টার ভিত্তিতে দাবি করা হচ্ছে যে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে কার্যত গণপিটুনির আদলে আগে বেধড়ক মারা হয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন যে, “বার বার প্রবল ভাবে মৃতার গলা চেপে ধরা হয়েছে। যার ফলেই মৃতার ‘থাইরয়েড কার্টিলেজ’ গুরুতর জখম হওয়ার আভাস পাওয়া গিয়েছে। শুধু গলা নয় ওই তরুণীর মুখ, নাকও জোর করে চেপে ধরে রাখা হয়েছিল। এবং তার পরে দেহের উপরের অংশে আঘাত করা হয়। যার ফলস্বরূপ চোখ ও মুখের ভিতর থেকে অবিরামভাবে রক্তপাত হতে থাকে।”

তদন্তের মোড় ঘোরানোর জন্য ধর্ষণ!

রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের নীচে নীল রঙের তোয়ালের মতো একটি কাপড় পাওয়া গিয়েছে, যা তদন্তে অনেকটাই সাহায্য করছে। ওই কাপড়ে থাকা রক্তের দাগের ফরেন্সিক রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে নতুন কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। জানা যায় সেই রক্তের দাগের মধ্যে মৃতার ডান কানের পিছন থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত ওই কাপড়ে পাওয়া গিয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত এর রিপোর্ট এবং সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে একদমই অখুশী CBI আধিকারিকরা। কারণে রিপোর্টে বেশ কিছু গুরুতর আঘাতের প্রসঙ্গ পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, CBI আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন যে তদন্তের নজর ঘোরানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষণের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ‘মনে হচ্ছিল আমার পরিবারের কাউকে হারালাম..’ এবার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে কলম ধরলেন মমতা!

এছাড়াও প্রশ্ন উঠছে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম নিয়ে। আর জি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুমেই চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকের সঙ্গে ওই রকম প্রবল আক্রমণের পরেও কীভাবে সেমিনার রুমের জিনিসপত্র ঠিকঠাক রয়েছে! এমনকি মৃতার মাথার পিছনে মোবাইল, ল্যাপটপ, ডায়েরির একটি পাতা ও ভাঙা চশমাও গুছিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আর তাতেই ধারণা করা হচ্ছে নির্যাতিতাকে অন্য জায়গায় খুন করে সেমিনার হলে এনে তাঁর জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥