সন্দেশখালিকাণ্ডে ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখ করল রাজ্য সরকারের। সিবিআই রিপোর্ট দেখে রীতিমতো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই প্রথমবার সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই একটি রিপোর্ট পেশ করে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে আর এই রিপোর্টে সিবিআই এমন কিছু তথ্য দিয়েছে যা দেখে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন বিচারপতিরা।
আসলে একটি মুখ বন্ধ খামে সন্দেশখালি ইস্যুতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয় রাজ্য সহযোগিতা করছে না, যে কারণে তদন্তে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আধিকারিকদের। ইতিমধ্যে জমি সংক্রান্ত মামলা থেকে শুরু করে মহিলাদের ওপর অত্যাচার সংক্রান্ত ভুঁড়ি ভুঁড়ি রিপোর্ট জমা পড়েছে সিবিআইয়ের কাছে। সিবিআই আধিকারিকরা প্রত্যেকদিনই সন্দেশখালির জায়গায় টহল দেওয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনছেন।
এমনকি ক্যাম্পও তৈরি করে সন্দেশখালির মানুষের সমস্যার কথা শোনা হচ্ছে। এই মর্মে আজ শনিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে জমি সংক্রান্ত মামলায় মুখ বন্দি খাম জমা দেওয়া হয় CBI-এর তরফে। সিবিআইয়ের অভিযোগ করে, জমির রেকর্ড সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে রাজ্য সহযোগিতা করছে না। বলপূর্বক জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত মোট ৯০০টি অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না করলে তদন্ত করতে সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানায় সিবিআই।
এদিকে সিবিআই-এর তরফে অভিযোগ শুনে রেগে যান বিচারপতিরা। বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন রাজ্যকে তদন্তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ মে নির্ধারণ করা হয়েছে।