ভিডিও, ছবি ডিলিট করেছিল সন্দীপ, অভিজিৎ! উদ্ধার করল CBI, আরজি কর কাণ্ডে বিরাট মোড়

Published on:

r g kar case cbi rescue sandip ghosh abhijit mondal deleted evidence

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আরজি কর-কাণ্ডে বাংলার জায়গায় জায়গায় চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। শুধু তাই নয় একের পর এক দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্যের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করেও রফাসূত্র কিছুতেই কিছু বেরোচ্ছে না। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তাজ্জব বাংলা তথা দেশ। এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। প্রাথমিক তদন্ত থেকেই সিবিআই দাবি করে আসছিল যে এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বহু হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করেছে CBI। যার মধ্যে অন্যতম হল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানা ওসি অভিজিৎ মন্ডল। এবার এই দুজনকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর CBI যা তথ্য দিয়েছে তা শুনলে আপনিও হয়তো চমকে উঠবেন।

আরজি করের প্রমাণ উদ্ধার করল CBI

WhatsApp Community Join Now

সিবিআইয়ের দাবি, কারো নজরে পরার আগেই আরজি করেরে ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও এবং ছবি ডিলিট করে দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। একের পর এক তদন্তে নেমে সিবিআই এর হাতে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও এসেছিল। আর এগুলি খতিয়ে দেখতেই চোখ কপালে উঠে আধিকারিকদের। তারা বুঝতে পারেন যে কিছু ছবি ও ভিডিও কারসাজি করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আর সবটাই হয়েছে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডলের অঙ্গুলিহেলনে।

সিএফএসএলের সাহায্য নিয়ে উদ্ধার করা হয় মুছে ফেলা সেই সব ভিডিয়ো। সবথেকে বড় কথা, পরবর্তী চার্জশিটে সেই সমস্ত নথি ও তথ্যপ্রমাণের উল্লেখ করতে পারে সিবিআই। আরজি করের চেস্ট মেডিসিনি বিভাগের দুই জুনিয়র ডাক্তার এবং সন্দীপের মধ্য ছবি ও ভিডিয়ো আদানপ্রদান হয়েছিল ৮ আগস্ট ও দুপুর থেকে ৯ আগস্ট গভীর রাতের মধ্যে।  সিবিআই এর নজরে বেশ কিছু ফোন কলও রয়েছে বলে খবর।

CBI-র নজরে বহু ফোনকল

৮ আগস্ট ও দুপুর থেকে ৯ আগস্ট গভীর রাতের মধ্যে আরজিকর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দুই জুনিয়র ডাক্তারের ৩০ এরও বেশি ফোনালাপ সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে তিনজনের কনফারেন্স কলও রয়েছে। ৯ আগস্ট দুপুর থেকে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলের সঙ্গে একাধিকবার কথা রেকর্ড হয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসের দাবি, ‘চিকিৎসকের খুনের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে তথ্যের দ্বিতীয় ধাপ থেকেই কিছুটা ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে সন্দীপ ঘোষ এবং দুই জুনিয়র চিকিৎসকের কল ডিটেইলস সামনে এসেছিল। এরপরে সন্দীপ ও অভিজিতের ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সে রিপোর্ট হাতে আসার পর তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে।’ ওই দুই চিকিৎসককে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ধৃত সন্দীপের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর।

সঙ্গে থাকুন ➥