শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলা। শুধু মাত্র তাই নয় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কয়েকশো কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এই সন্দীপ ঘোষ হল আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে দুর্নীতি কাণ্ড থেকে শুরু করে ধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনায় হেফাজতে রয়েছে সে । শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আরো নানারকমের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে ED থেকে শুরু করে CBI এর আধিকারিকরা। তবে এবার এই আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুর্নীতির কিনারা করতে গিয়ে রীতিমতো কেঁচো খুঁড়তে কেউটে পেলেন সিবিআই আধিকারিকরা বলে মনে হচ্ছে।
১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি?
এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এমন একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে যেখানে সাফ সাফ ইঙ্গিত হয়েছে যে বাংলায় স্বাস্থ্য খাতে নয় নয় করে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে! শুনে চমকে গেলেন তো কিন্তু এটাই সত্যি। এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের একটি রিপোর্টে এক সিবিআই অফিসারকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, বাংলায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত সংক্রান্ত শেষ যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা করা হয়েছে, সেখানে বাংলার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৃহত্তর দুর্নীতির উল্লেখ রয়েছে। এদিকে নড়েচড়ে বসেছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতও। এই ঘটনায় প্রধান বিচারপতি সিবিআই-কে সার্বিক ভাবে অন্য হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়েও তদন্তের অনুমতি দিয়েছেন।
ফিরে দেখা ২০১৪ সাল
২০১৪ সালে বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে। আর এই পরিবর্তনের ফলে হাসপাতালে হাসপাতালে নিম্নমানের বা ভুয়ো ওষুধ রাখার অভিযোগ ওঠে। প্রথমেই নাম আসে কলকাতার প্রথম সারির সরকারি হাসপাতাল আরজি করের। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ। দুর্নীতি মামলাতেই আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সেই দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হবে বলে সম্প্রতি আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল ছাত্র নেতা তথা চিকিৎসক আশিস পাণ্ডেও। এদিকে এই ঘটনায় আরো দুজন চিকিৎসক সিবিআই এর রাডারে রয়েছেন বলে খবর।