প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: জাতীয় সড়ক-১০ বা NH 10 উত্তরবঙ্গের (North Bengal) একাধিক জেলার মধ্যে যাতায়াত, বাণিজ্য, পর্যটন এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সড়ক পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, এবং ডুয়ার্সের সঙ্গে সিকিমের সংযোগ রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চলেছে।
১৪০০ কোটি টাকা অনুমোদন কেন্দ্রীয় সরকারের
জাতীয় সড়ক ১০ এ দীর্ঘদিন ধরে ট্রাফিক জ্যাম এর মত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে যাত্রীদের। এমনকি রেল লেভেল ক্রসিংয়ের মত সমস্যা নিয়েও ভুগতে হচ্ছে। তবে এবার সেই সমস্যা পুরোপুরি দূর হতে চলেছে। জানা গিয়েছে সেবক ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেবক বাজার পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি এলিভেটেড করিডোর নির্মাণ করা হতে চলেছে। আর এই নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ১৪০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনই তথ্য জানালেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত। আশা করা যাচ্ছে এই করিডোর নির্মাণের ফলে শুধুমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হবে না, বরং এটি স্থানীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি রাজ্যে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
কী বলছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ?
দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত এই নয়া করিডর প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “এই প্রকল্প নিয়ে ২০২৩ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় সড়কমন্ত্রী নীতিন গড়করীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। এরপর প্রায় এক বছরের মধ্যে সেই প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী ৩ বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আর সেই কাজ শেষ হয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা যেমন লাভবান হবেন, তেমনই পর্যটকদেরও বেশ সুবিধা হবে। ক্রমেই উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত থেকে উন্নততর হয়ে উঠবে।
তবে সাংসদ রাজু বিস্ত করোনেশনের ব্রিজের বিকল্প সেতু বা দ্বিতীয় সেবক ব্রিজ নিয়ে আপাতত কোনও খবর দিতে পারেননি। কিন্তু এই ব্যাপারে তিনি দাবি করেছেন, করোনেশন ব্রিজের বিকল্প, শিলিগুড়ি রিং রোড, দার্জিলিং টাউন থেকে তিস্তা পর্যন্ত নয়া হাইওয়ে, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত বিকল্প হাইওয়ে প্রকল্প নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে সরকারের সঙ্গে। আশা করা যাচ্ছে সড়ক নির্মাণের প্রকল্পগুলি খুব শীঘ্রই একে একে সম্পন্ন হবে।