রাজ্যগুলিকে ফের কর বাবদ টাকা বন্টন কেন্দ্রের! বাংলার ভান্ডারে ঢুকল কত টাকা?

Published on:

central government of india

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গতবার নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার শপথ গ্রহণের পর পরই গত বছর জুন মাসে নয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রাজ্যভিত্তিক কর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় ২৮টি রাজ্য মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা কর ছাড়া হয়েছিল। আর এই করের টাকা প্রতিটি রাজ্যের প্রাপ্য টাকা। যদিও গতবার কেন্দ্রের দাবি ছিল ওই মাসের অতিরিক্ত কিস্তির টাকাও সংযোজন করা হয়েছে। আর এই আবহে নতুন বছর পড়তে ফের রাজ্যগুলিকে কর বাবদ টাকা বন্টন করল কেন্দ্র। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে বাংলা পেল কত।

ফের রাজ্যগুলিকে কর বাবদ টাকা বন্টন কেন্দ্রের

WhatsApp Community Join Now

সূত্রের খবর, গতবার রাজ্যভিত্তিক কর বাবদ এর ভিত্তিতে বাংলা পেয়েছিল ১০ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। কিন্তু সেই সময় সব থেকে বেশি টাকা পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। তাদের প্রশাসনিক ভাণ্ডারে দেওয়া হয়েছে ২৫,০৬৯.৮৮ কোটি টাকা। তার পরে তালিকায় ছিল বিহার, সেই রাজ্যের সরকার পেয়েছে ১৪,০৫৬.১২ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে থাকা মধ্যপ্রদেশ পেয়েছিল ১০,৯৭০.৪৪ কোটি টাকা। আর সেই তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। আসলে এই টাকাগুলি রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়। মাঝে মাঝে এই অতিরিক্ত কিস্তিও দেওয়া হয়।

বাংলা কত পেল?

তবে এবার বাংলার কপালে জুটল গতবারের তুলনায় একটু বেশি টাকা। কেন্দ্রে হিসেব, এবার রাজ্যগুলি বন্টন করা হল ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৩০ কোটি টাকা। এর আগে, ডিসেম্বরে কর বাবদ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছিল ৮৯, ০৮৬ কোটি টাকা। তার মধ্যে বাংলা পেল ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা। যা রাজ্যের উন্নয়নের কাজে ব্যবহারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে। কিন্তু এই আবহে তবুও কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ একটুও কমেনি। এখনও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার আর্থিক বঞ্জনার অভিযোগ তোলেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার অন্যতম উদাহরণ হল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা।

বহুবার কেন্দ্রের কাছে আবাস যোজনার টাকা বাংলায় পাঠানোর জন্য আবেদন করলেও সব আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবং পাল্টা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। যার জেরে রাগের বশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই প্রশাসনিক ভান্ডার থেকে বাংলায় আবাস যোজনা চালু করেছেন। বর্তমানে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ১২ লক্ষ উপোভোক্তাদের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এমনকি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বাড়ি নির্মাণ।

সঙ্গে থাকুন ➥
X