৮ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ নিচ্ছে সুবিধা, স্বাস্থ্যসাথীতে কত খরচ? হিসেব দিল রাজ্য সরকার

Published on:

Swasthya Sathi Scheme

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের সকল বাসিন্দাদের জন্য একের পর এক প্রকল্পের সূচনা করেছে। সংখ্যালঘু থেকে শুরু করে রাজ্যের সকল মহিলা, বয়স্ক এবং বেকারদের জন্য একাধিক প্রকল্প আনা হয়েছে। একদিকে যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছে ঠিক তেমনই কন্যাশ্রী, রূপশ্রী এবং সবুজ সাথীও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। তবে এসবের মাঝেও রাজ্য সরকার দরিদ্র জনসাধারণের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর নজর রেখেছে। আর তার জন্য নিয়ে এসেছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi Scheme)।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

কী জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য?

জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল, রাজ্যের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা। বর্তমানে এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে রাজ্যের সকল নাগরিক। প্রতি বছর এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এবার এই প্রকল্প নিয়েই বিধানসভায় এক তৃণমূল বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে উঠে এল এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, বিধানসভায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন আমতার তৃণমূল বিধায়ক সুকান্ত পাল। আর তার উত্তরে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান বর্তমানে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা মেলে ২৯১৪টি হাসপাতালে। প্রকল্পের সুবিধা এখন এতটাই সহজ হয়ে গিয়েছে যে আর কোনো দরিদ্র মানুষকে বিনা চিকশায় প্রাণ ত্যাগ করতে হয় না। এমনকি কোনও সমস্যা হলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে উল্লিখিত নম্বরে ফোন করে সেবা পাওয়া যাচ্ছে তৎক্ষণাৎ।

তুলে ধরা হয়েছে পরিসংখ্যান

এছাড়াও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ২২৬৩ কোটি ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৩৯ টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। আবার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ওই পরিমাণ আরও বেড়ে হয় ২৬৩০ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৯৪ টাকা। পরের অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালে এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে ব্যয় হয়েছে ২৬৯৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ৯ হাজার ৬৩১ টাকা। এইরূপ প্রতি বছর বেশি অর্থ ব্যয়ের কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে যে উপভোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬০৭ জন এই প্রকল্পে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। তাই এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুনঃ কোথাও ১০ তো কোথাও ১৫! ছাত্রাভাবে বন্ধ হচ্ছে বাঁকুড়ার ৭ মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের নাগরিকরা হাসপাতাল গুলোতে একাধিক ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন, যেমন—চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে খরচের পরিমাণও নিজেদের আয়ত্তে আসছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই কন্যাশ্রীর মত এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠ প্রকল্প হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group