ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট রুখতে তোরজোড়, পোর্টাল বদলে দিল রাজ্য সরকার

Published:

birth certificate
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে সরকারি নথিপত্র এর গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই নথিপত্রের মধ্যে অন্যতম হল বার্থ সার্টিফিকেট। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ নথি সকল ক্ষেত্রেই বেশ প্রয়োজনীয়। আগে হাসপাতালের ডাক্তারদের হাতেই তৈরি হত জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র। এছাড়াও জন্ম ও মৃত্যু তথ্য নিয়ে সার্টিফিকেট তৈরি করা ছিল এক বিরাট জটিল ব্যাপার। কিন্তু এবার সেই জটিলতার পথ ধরেই শুরু হল এক বিরাট দালাল চক্র।

ভুয়ো জন্ম শংসাপত্রের (Fake Birth Certificate) গোড়া খুঁজতে হাসপাতাল ও পুরসভাগুলিতে তদন্ত চালাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাতেই দেখা যাচ্ছে, কারও জন্ম পড়াশোনা বিহারে হলেও জন্ম শংসাপত্র কলকাতার আবার কেউ বা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হলেও পড়াশোনা দিল্লিতে করলেও জন্ম শংসাপত্র কলকাতার, আর তাই নিয়ে এবার জন্ম শংসাপত্রের আবেদনের পোর্টাল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি রানাঘাট পুলিশ জেলার তরফে ওই পোর্টাল নিয়ে অবৈধ ভাবে ‘নকল’ শংসাপত্র তৈরির অভিযোগ উঠে আসে। এবার সেই নিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হল রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরে।

নথি ছাড়াই মিলত শংসাপত্র

সূত্রের খবর, বিগত কয়েক মাস ধরে অবৈধ ভাবে দিনের পর দিন ‘নকল’ শংসাপত্র তৈরি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে আসছে। সেই কারণে সরকারি পোর্টাল নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। আর তাতেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন ধরে জন্ম বা মৃত্যু শংসাপত্রের আবেদনের ক্ষেত্রে নাকি নথির পরিবর্তে শুধুমাত্র গাছপালা বা পোষ্যর ছবি পোর্টালে আপলোড করলেই নাকি মিলছে শংসাপত্র। আর তাতেই নড়ে চড়ে বসল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এবার সেই সমস্যা দূর করতে ধাপে ধাপে ওই পোর্টালে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে।

পোর্টালে নয়া আপডেট!

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্ম শংসাপত্রের ক্ষেত্রে অনলাইন আবেদনের জন্য রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা পোর্টাল। সেখানে সদ্যজাতদের জন্ম শংসাপত্রের আবেদনের জন্য ২১ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া রয়েছে। এমনকি ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে ‘বিলম্বিত আবেদন’ করার সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রেও কত দেরিতে জন্ম শ‌ংসাপত্রের জন্য আবেদন করা হচ্ছে, তার নিরিখে বিষয়টিকে পর্যায়ক্রমে ভাগ করা হয়েছে। তবে অনেকের অভিযোগ, জন্মের ২১ দিনের মধ্যে আবেদন বলা হলেও, বাস্তবে তা হত না। সেই কারণে একটা চক্র কয়েক বছর আগের তারিখে প্রচুর জন্ম শংসাপত্র বের করার কাজে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল।

আরও পড়ুন: ১১৫৭ কোটি বেতন দিচ্ছে ইলন মাস্ক! সত্য নাদেলা, সুন্দর পিচাইকে পিছনে ফেলল এই ভারতীয়

এদিকে চলতি বছর, গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাঁসখালি ব্লকের অধীনে থাকা বগুলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে জন্ম শংসাপত্র প্রদানের বড় রকম অনিয়ম সামনে উঠে এসেছিল। তখন দেখা গিয়েছিল পঞ্চায়েতের জন্মের হারের তুলনায় শংসাপত্রের প্রদানের হার বেশি। সেই সময় তদন্তে নেমে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। আর তখনই রানাঘাট জেলা পুলিশের কর্তারা পোর্টালের বেশ কয়েকটি খামতি প্রত্যক্ষ করেন।

এছাড়াও হাসপাতাল ও পুরসভার সূত্র ধরে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে এজেন্টরা শুধু ভুয়ো শংসাপত্র-সহ অন‌্যান‌্য ভুয়ো নথি তৈরির জন‌্য এক থেকে দেড় লাখ টাকা করে নিতেন।

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join