অনিকেতের পর অনশন করে গুরুতর অসুস্থ আরেক চিকিৎসক! এখন কেমন আছেন পুলস্ত্য?

Published on:

doctor pulastya acharya

প্রীতি পোদ্দার: গত ৫ অক্টোবর থেকে ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। প্রথম দিকে এই আন্দোলন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। কিন্তু পরে সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করে সেই আন্দোলন অন্য দিকে মোড় নেয়। কর্মবিরতির ডাক প্রত্যাহার করে অনশন কর্মসূচি পালন করার উপর জোর দেওয়া হয়। আর এই পরিস্থিতিতে আরও এক অনশনকারীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ল।

অনিকেতের পর আরও এক অনশনকারী

WhatsApp Community Join Now

সূত্রের খবর, গত ৬ অক্টোবর থেকে অনশনে বসেছিলেন নীলরতন সরকার হাসপাতালের প্রথম বর্ষের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের পিজিটি পুলস্ত্য। কিন্তু প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া না মেলায় অনশন জারি রয়েছে। এদিকে ১৯৪ ঘণ্টা অনশনের পর আজ সন্ধে থেকেই অনিকেতের পর আরও এক অনশনকারী পুলস্ত্যকে অবস্থার অবনতি হতে দেখা গিয়েছে। তলপেটে যন্ত্রণা থেকে শুরু করে বমি বমি ভাব নিয়ে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। ব্যবস্থা করা হয়েছে CCU-র।

কী বলছেন চিকিৎসক?

জানা গিয়েছে, গতকাল পুলস্ত্যকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর থেকে আজ ভোররাত নাগাদ তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান জয়দীপ দেব। তিনি জানান, অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্যের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। তবে ভালো বিষয় হল এখন তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “পুলস্ত্য আচার্য সাত দিন ধরে অনশনে ছিলেন। টানা অনশনে থাকার ফলে শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যাসিড বেসের মাত্রার পরিবর্তন হওয়ার ফলে মানসিক সচেতনতা কমে গিয়েছে। এর পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে না খাওয়ার কারণে তাঁর পেটে ব্যথা শুরু হয়। সময় মতো তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও এখনও তাঁর এখন চিকিৎসা চলছে।”

অনবরত স্যালাইন চলছে!

জানা গিয়েছে, অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্যের চিকিৎসার জন্য NRS এ পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সেই দলে আছেন জেনারেল মেডিসিন, চেস্ট, কার্ডিও, নেফ্রো এবং অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞেরা। পুলস্ত্যের শরীরে আরও নানা রকমের পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও যেহেতু তাঁর শরীরে জলশূন্যতা রয়েছে। তাই তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তবে একের পর এক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়লেও আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, সরকার দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত আন্দোলনের পথ থেকে এখনই হার মেনে নেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না।

সঙ্গে থাকুন ➥