প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (Dearness allowance) দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ২০২২ সালে ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে সেই মামলা। তখন এই মামলার বিচারপতি ছিলেন জাস্টিন দীনেশ মাহেশ্বরী এবং জাস্টিস ঋষিকেশ রায়। এরপর সেই মামলা ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ওঠে জাস্টিস দীনেশ মাহেশ্বরী এবং জাস্টিস সঞ্জয় কুমারের এজলাসে। এবং শেষবার এই মামলা উঠেছিল ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ সালে। এরপর অবসর নেন জাস্টিস দীনেশ মাহেশ্বরী। কিন্তু এখনো সেই মামলার শুনানি বের হয়নি। ফলস্বরূপ DA মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, বর্তমানে মামলাটি যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে এখনই তার নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম।
অবসরের আগেই কি নিষ্পত্তি হবে এই মামলা?
একের পর এক ১৩ বার শুনানি পিছিয়েছে। দীর্ঘ ২ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কর্মীদের বকেয়া DA মামলা। আর এই আবহে বছরের শুরুতে অর্থাৎ আগামী ৭ জানুয়ারি ফের DA মামলা উঠতে চলেছে আদালতে। এদিকে এই মামলায় প্রথম থেকে জড়িত জাস্টিস ঋষিকেশ রায়ের অবসরের দিনও ঘনিয়ে আসছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি তাঁর অবসরের শেষ দিন। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে তিনি DA মামলার বিস্তারিত শুনানি করে তার নিষ্পত্তি করে যাবেন কি না।
DA মামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট !
এদিকে DA মামলার শুনানি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, ‘ নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালটি রাজ্যের সমগ্র সরকারী কর্মচারীদের কেমন কাটবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আগামী ৭ জানুয়ারি। কারণ সেদিন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে DA সংক্রান্ত মামলার রায়দান করবে। আসলে এর আগে ২০২৩ এবং ২০২৪ DA মামলা সর্বোচ্চ আদালতে বিচারবন্দি থেকে আসছে। তাই আমাদের ভয় হচ্ছে এই বছরেও কি তবে সর্বোচ্চ আদালত আমাদের আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলবে?’
এছাড়াও মলয় মুখোপাধ্যায় আরও জানান যে এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে কোনো প্রকার কজলিস্ট প্রকাশ করা হয়নি। আসলে এই কজলিস্ট এর মাধ্যমে জানা যাবে যে DA মামলা কত নম্বরে আছে। এদিকে DA মামলায় সরকারি কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী আশাবাদী যে আগামী ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি শুনবেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে এই মামলাটি স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে। প্রথমে স্যাটে জয় পেয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে জয় পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এবার দেখার পালা এই মামলায় কার জয় হয়।