প্রীতি পোদ্দার, হাওড়া: রাজ্যে মিড ডে মিল (Midday Meal Scheme) নিয়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ খবরের শিরোনামে বার বার উঠে এসেছে। শুধু তাই নয় বিতর্কের শিরোনামে বার বার উঠে এসেছে বিদ্যালয়গুলির মিড–ডে মিলের খাবার। বাচ্চাদের এই মিড ডে মিলের খাবারে কখনও দেখা যায় সাপ, টিকটিকি, কেঁচো তো আবার কখনও দেখা যায় লাল লাল পোকা, মাকড়সা। যা নিয়ে অভিযোগ ওঠে ভূরি ভূরি। স্কুল পড়ুয়াদের পৌষ্টিক আহারের জন্য ব্যবস্থা করা এই মিড ডে মিল যে কতটা উপকারী তা জানা থাকলেও এই ধরনের অভিযোগের ঝোলা যেন আরই বেড়ে চলেছে। তবে এবার মিড ডে মিলের খাবারে আনা হল বিরিয়ানি। যা দেখে চমকে উঠেছে পড়ুয়ারা।
ঘটনাটি কী?
জানা গিয়েছে হাওড়ার বাঁকড়া মোবারক হোসেন বালিকা বিদ্যালয়ে শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের জন্য এলাহি ভোজের ব্যবস্থা করলেন শিক্ষকরা। মেনুতে ছিল চিকেন বিরিয়ানি, স্যালাড, আইসক্রিম। আর এই আয়োজনের জন্য বাইরের কোনো সাহায্য নেয়নি কর্তৃপক্ষ। স্কুলেই রান্না হয়েছে এ দিনের খাবার। বিশাল বড় হাঁড়িতে বিরিয়ানি চড়ানোর পর থেকেই ছাত্রীদের চোখে মুখে যেন আনন্দ ফুটে উঠেছে। স্কুল চত্বর জুড়ে ম ম করেছে বিরিয়ানির গন্ধে।
কেন এমন আয়োজন?
আসলে বাঁকড়া মোবারক হোসেন বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতিদিনই অন্যান্য সরকারি স্কুলগুলোর মত মিড ডে মিলে একঘেয়েমি ভাত এবং তরকারি দেওয়া হয়। তার সঙ্গে কখনও ডিম তো আবার কখনও সোয়াবিন এর ঝোল। এদিকে শিক্ষক দিবসে এই ছাত্র ছাত্রীরাই শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য নানা আয়োজন অনুষ্ঠান করে। যদি শিক্ষক দিবস আয়োজন করা যায় তাহলে শিশু দিবস কেন নয়। তাই সেই একঘেয়েমি ভাব কাটিয়ে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাঁকড়ার এই স্কুলে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে দেওয়া হয় বিরিয়ানি, স্যালাড এবং আইসক্রিম।
সারিনা খাতুন নামে এক পড়ুয়া জানায়, শুধু খাওয়াদাওয়া নয়, সকাল থেকেই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল স্কুলে। আর ভরপেট বিরিয়ানি খাওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে ওই স্কুলের টিচার ইনচার্জ ঝুমা ঘোষ জানান, ‘‘বছরের এই দিনটা ছাত্রীদের সঙ্গে অন্য রকম ভাবে কাটানো হয়। ছোটরা নাচ, গান এবং আবৃত্তির অনুষ্ঠান করে। তার পর চলে খাওয়া দাওয়া।’’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |