এবার প্রথম শ্রেণি থেকেই সেমিস্টার! থাকবে ক্রেডিট পয়েন্ট সিস্টেম, ঘোষণা পর্ষদের

Updated on:

class one to five primary education will be in semester system

পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ সম্প্রতি খবর মিলেছিল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তন হতে চলেছে। কদিন আগেই জানা গিয়েছিল পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পাশ ফেল সিস্টেম ফিরতে চলেছে। তবে এবার প্রাথমিক শিক্ষা (Primary Education) নিয়ে বড় আপডেট পাওয়া গেল। ১ লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সপূর্ণ বদলে যেতে চলেছে প্রাথমিকের পড়াশোনার পদ্ধতি, শুরু হচ্ছে সেমিস্টার সিস্টেম।

প্রাথমিকে চালু হচ্ছে সেমিস্টার পদ্ধতি

WhatsApp Community Join Now

হ্যাঁ একদমই ঠিক দেখছেন প্রাথমিক শিক্ষাও এবার সেমিস্টার পদ্ধতিতে হবে বলে জানা যাচ্ছে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। নতুন বছর থেকেই এই পদ্ধতি চালু করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই সকলের মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে, হটাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এর উত্তরও মিলেছে সভাপতির তরফ থেকেই।

কেন বদল হচ্ছে শিক্ষা পদ্ধতিতে?

প্রাথমিকে সেমিস্টার পদ্ধতি চালুর প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি জানান, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার জন্য যাতে ছেলেমেয়েরা ছোট থেকেই তৈরী হতে পারে সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিস্টেম অনুযায়ী প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। বছরে দুবার পরীক্ষ হবে। প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে জুন মাসে এরপর দ্বিতীয় সেমিস্টারের  পরীক্ষা হবে ডিসেম্বর মাসে।

বদলে যাবে প্রাথমিকের সিলেবাস

সেমিস্টার পদ্ধতি চালুর পাশাপাশি সিলেবাসেও বদল আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। একটি শিক্ষাবর্ষকে দুইভাগে ভাগ করা হবে। এর জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতিকে খেয়াল রেখে NCERT এর একটি কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক তৈরী করা হয়েছে। ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত কোনো পাশ ফেল থাকছে না ঠিকই তবে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে গেলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। পরীক্ষার পর যে রেজাল্ট দেওয়া হবে তাতে নাম্বারের পাশাপাশি ক্রেডিট পয়েন্ট থাকবে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এই ক্রেডিট পয়েন্টকে মান্যতা দেওয়া হবে।

প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়াকে অবশ্যই ৮০০ ঘন্টা ক্লাস করে থাকতে হবে। তবেই দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রমোশন দেওয়া হবে। একইভাবে তৃতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বছরে ১০০০ ঘটার ক্লাস করে থাকতে হবে। এখানেই শেষ নয়, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্ষেত্রে একটি সেমিস্টারে নূন্যতম ৩৭৬ ঘন্টা ও তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষেত্রে ৪৬০ ঘন্টা ক্লাস করে থাকতে হবে। পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকবে ৬০ ঘন্টা। আর পরীক্ষার জন্য গোটা রাজ্যে একটাই প্রশ্নপত্র তৈরী করা হবে যেটা পর্ষদের তরফ থেকে দেওয়া হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X