প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বরাবর কলকাতার লাইফলাইন বলা হয়ে থাকে কলকাতা মেট্রোকে (Kolkata Metro)। দেশে মেট্রোরেল পরিষেবা শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ বরাবরই তালিকার একেবারে শীর্ষে থাকে। সেক্ষেত্রে জনগণের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একের পর এক উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে চলেছে। কিছুদিন আগে প্রথমবার গঙ্গার নীচ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল মেট্রোরেল। আর এবার অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল ব্যবহার করে আবারও এক বড় নজির গড়তে চলেছে কলকাতা মেট্রোরেল।
পৃথিবীর বাকি আধুনিক দেশ যেমন লন্ডন, মস্কো, বার্লিন, মিউনিখ এবং ইস্তানবুলে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসানোর প্রথা রয়েছে। এবার সেই প্রথা দেখা যাবে কলকাতার মেট্রো রেলে। সাধারণত মেট্রোরেল চলাচলের জন্য যে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় তা সরবরাহ করে থার্ড লাইন । অর্থাৎ মেট্রোর থার্ড লাইন থেকে বিদ্যুৎ পৌঁছয় মেট্রোরেকে। কিন্তু বর্তমানে এই থার্ড লাইন স্টিলের তৈরি । তাই সেগুলিকে এবার অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
কবে শেষ হবে কাজ?
কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইন যেটি দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত যায়, সেই রুটে ইস্পাতের বিদ্যুৎবাহী থার্ড রেলের পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়ামের বিদ্যুৎবাহী থার্ড রেল বসানোর কাজ প্রায় শেষের পথে এসে গিয়েছে। বিনা বাধায় এমনভাবে কাজ চলতে থাকলে আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে ব্লু লাইনের বেলগাছিয়া- মহানায়ক উত্তম কুমার পর্যন্ত ডাউন লাইনে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এদিকে শ্যামবাজার ও সেন্ট্রাল স্টেশনের মধ্যে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অনেক আগেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
খরচ কমবে বিদ্যুৎ এর
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শ্যামবাজার ও সেন্ট্রাল স্টেশনের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ কিমি অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসানো হয়েছিল। আসলে এই থার্ড রেল বসানোর অন্যতম উদ্দেশ্য হল বিদ্যুৎ সঞ্চয়। এই থার্ড রেলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি সঞ্চয় করা যায়। যার ফলে অনেকটা খরচ কমবে। এবং তাই সেই কারণে আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের এক মুখপাত্রের দাবি, প্রতি মাসে প্রায় ৪ হাজার মিটার করে কাজ হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী আগস্ট মাসেই সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।