প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি বছরে শেষবারের মতো আয়োজিত হয়েছিল বার্ষিক পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে এবার থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের সিমেস্টার মাধ্যমে দিতে হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। যদিও এই পদ্ধতি আসার পরে পাঠ্যক্রমেও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী তৃতীয় সিমেস্টার হবে MCQ-ভিত্তিক। আর এমতাবস্থায় এবার নাকি ভরা বর্ষার মধ্যেই শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা।
বৃষ্টিতে কীভাবে পরীক্ষা দেবে পড়ুয়ারা?
স্বাভাবিকভাবেই তাই সকলের মনে চিন্তা বাড়ছে যে, এই টানা বৃষ্টিতে কোথাও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাবে কীভাবে? তবে চিন্তা নেই, সেই সমস্যা নির্মূল করতে সংসদের তরফ থেকে নেওয়া হতে চলেছে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। পরিস্থিতি বুঝে এবার পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সাংসদ। এমনটাই জানালেন খোদ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
বড় উদ্যোগ শিক্ষা সংসদের!
আসলে অনেক আগেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, তৃতীয় সিমেস্টার পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সমস্যা একটাই, ওই মাসে সাধারণত যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টি হয়। রাজ্যের বহু এলাকাই বন্যা-কবলিত অবস্থায় থাকে। তাই এ বারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাই এ সব আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়েছে।
কী বলছেন শিক্ষা সংসদের সভাপতি?
গত শুক্রবার, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ” আমরা সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রধান পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রশ্নপত্র রাখার জায়গা এমন এলাকায় করতে হবে, যেখানে বন্যার কোনও ইতিহাস নেই।”
এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে, “যদি কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে শেষ মুহূর্তে সেই কেন্দ্র পাল্টানো হবে। তবে, অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্র পাল্টাতে হলে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অনুমতি নিতে হবে।”
আরও পড়ুন: ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে রাজ করবে মুসলিমরা! বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস আন্তর্জাতিক সমীক্ষায়
এই বিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ ভরা বর্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা নিজেদের স্কুলে পরীক্ষা দিতে পারবে না তাই , তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র যাতে বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে না হয়, সেই বিষয়টিকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। এর ফলে একদিকে যেমন দুর্যোগের সময় পরীক্ষা কেন্দ্র কাছে পড়বে ঠিক তেমনই ছাত্রছাত্রীরা বিনা সমস্যায় পরীক্ষায় মনোযোগ দিতে পারবে। ”
অন্যদিকে বৃষ্টির সময় বাড়ি থেকে কী ভাবে তাদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হবে, এই নিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |