প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে নানা কর্মকাণ্ড হয়েই চলেছে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা পাচার, গরু পাচার এবং কাটমানিও বেশ মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। বাদ যায়নি রেশন দুর্নীতি। এই দুর্নীতির কারণেই এতদিন জেলবন্দী ছিলেন প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যদিও জামিনের ফলে এখন তিনি জেলের বাইরে। আর এবার এই আবহে ফের রেশন নিয়ে বড় উদ্যোগ নিল খাদ্য দফতর।
রেশন পরিষেবা নিয়ে বড় উদ্যোগ খাদ্য দফতরের
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্যজুড়ে রেশন গ্রাহকদের জন্য আগামী ৮ এবং ৯ ফেব্রুয়ারি ‘উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযান’ চালাবে পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তর। তবে এই উদ্যোগ যে নতুন তা কিন্তু নয়। এর আগে চারবার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। শেষে পঞ্চমবার এমন উদ্যোগ নেওয়া হল। ইতিমধ্যেই সেই বিজ্ঞপ্তি খাদ্য দপ্তরের সব আধিকারিক এবং সাধারণ কর্মীদের দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে নিজেদের এলাকার অন্তত দুটি করে রেশন দোকানে যেতে হবে। এবং রেশন গ্রাহক ও রেশন ডিলার দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে সমীক্ষা নেওয়া হবে।
এছাড়াও সেই নির্দেশিকায় প্রত্যেক আধিকারিক এবং সাধারণ কর্মীদের মোট ১১ দফা প্রশ্নের তালিকা তৈরি করে তার উত্তর জানতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের তাঁদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।এরপর তাঁদের সকলের সেই ফিডব্যাক খাদ্য দপ্তরের নিজস্ব পোর্টাল ও দপ্তরের একাধিক সামাজিক প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরা হবে। এরপর সকল সমস্যা প্রসঙ্গে আগামী দিনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে খাদ্য দপ্তর।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হবে এই সমীক্ষা
এর আগে গত কয়েকবছরে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, দপ্তরের প্রধান সচিব পারভেজ আমেদ সিদ্দিক উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার সেই দায়িত্ব পালন করবেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। তবে প্রতি বারের মত এবারেও খাদ্য দপ্তরের এই উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযান সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনি ও রবিবার করা হয়েছে। তাই ছুটির দিন হওয়ায় কর্মী ও আধিকারিকদের বাড়ির কাছাকাছি অন্তত দুটি রেশন দোকান বেছে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এবং সমীক্ষা সেখানেই করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ২৬,০০০ চাকরি বাতিল মামলায় নয়া টুইস্ট, ফের হবে পরীক্ষা? বড় মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
এছাড়াও উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযানে রাজ্যের রেশন গ্রাহকরা খাদ্যসামগ্রী নেওয়ার সময় দোকানের ই-পস মেশিন থেকে স্লিপ পাচ্ছেন কিনা সেটা জানতে বলা হয়েছে খাদ্য আধিকারিকদের। এমনকি ডিলারদের জন্য দপ্তর যে বিশেষ হেল্পডেক্স খুলেছে সেটাও সকলে ব্যবহার করছে কিনা তা নিয়েও সমীক্ষা করতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। এবং গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করার উপরেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।