পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বাংলায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে বাড়ি বাড়ি বিশুদ্ধ জল পৌঁছে দেওয়ার জল জীবন মিশন (Jal Jeevan Mission) প্রকল্পের কাজ। এমনটাই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক জেলায়। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠছে কাজ হলেও মেলেনি টাকা। যার জেলা জুড়ে আন্দোলন শুরু হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
জল জীবন মিশন প্রকল্প
২০১৯ সালে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে শুরু হয় ‘জল জীবন মিশন প্রকল্প’। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল ২০২৪ সালের মধ্যেই সব বাড়িতে পাইপের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হবে। কিন্তু শুরু থেকেই কাজে গতি মেলেনি বলে জানা গিয়েছিল রিপোর্টে। কিন্তু এবার উঠে আসছে অন্য তথ্য।
অগাস্ট মাস থেকে বকেয়া টাকা
যেমনটা জানা যাচ্ছে, পশ্চিম বর্ধমানে পানীয় জলের সংকট দূরীকরণের জন্য সরকারি প্রকল্পের আওতায় কাজ চালু হয়েছে। ঠিকাদারেরাও নিজেদের এলাকা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু কাজ শুরু হলেও সরকারের তরফ থেকে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। গত অগাস্ট মাস থেকেই বকেয়া রয়েছে টাকা। তাই দ্রুত টাকা না দেওয়া হল কাজ চালানো অসম্ভব বলে জানালেন পিএইচই ঠিকাদারের পক্ষের মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।
আসলে ঠিকাদারেরা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করান, বদলে তাদের পারিশ্রমিকও দিতে হয়। কিন্তু সরকারের থেকে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকদেরও টাকা দিতে পারা যাচ্ছে না। এই মর্মে আজ অর্থাৎ বুধবার আসানসোলের ইসমাইলের PHE দফতরে বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শ্রমিকেরা। এরপর উক্ত দফতরের অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ কুমার কুণ্ডু জানান, গোটা বিষয়টা উপরমহলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে কাঁপবে দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলা! সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া, আগামীকালের আবহাওয়া
এখানেই শেষ নয়, বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে পিএইচই দফতরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে মানভূম পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্ট্রাক্টরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে। সেখানে জানানো হয় প্রায় দুই বছর ধরে জল জীবন মিশন প্রকল্পের টাকা বকেয়া। এমনকি এছাড়াও বাকি কাজের ৮৭ কোটি টাকা বাকি রয়েছে। এই বিপুল অঙ্ক বাকি রেখে পরিষেবা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |