প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির কাণ্ডে নাজেহাল রাজ্যবাসী। রেশন চুরি, কয়লা পাচার, গোরু পাচার থেকে শুরু করে চাকরি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জর্জরিত শাসক দল ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার জেরে এখনও জেলবন্দি একাধিক দাপুটে নেতা। আর এই সকল দুর্নীতি কাণ্ডে বারংবার হাইকোর্টের কাছে বদনাম শুনতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু এই আবহে এবার দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া গেল আদালত চত্বরে। তাও আবার নিয়োগ সংক্রান্ত।
আদালত চত্বরে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমকে এক কোর্ট অফিসার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি বিষয়ক একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে, হাইকোর্টের অ্যাপিলেট সাইডে অ্যাসিট্যান্ট রেজিস্ট্রারের শূন্যপদে নিয়োগের জন্য গত চার বার পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
মেধার ভিত্তিতে নয় স্বজন-পোষণের মাধ্যমে নিয়োগ
এছাড়াও কোর্ট অফিসার এদিন চিঠির মাধ্যমে এটাই বলতে চেয়েছেন যে আদালতে মেধার ভিত্তিতে নয় বিচারকের ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতেই ওই পদে ইতিমধ্যে ১০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। ফলে সেই কোর্ট অফিসারের অনুরোধ আজ যেন ৬টি শূন্যপদে অ্যাসিট্যান্ট রেজিস্ট্রার নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। অর্থাৎ দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাদ গেল না কলকাতা হাইকোর্ট-ও। এবার কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্টার নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষাতেও উঠল স্বজন-পোষণের অভিযোগ।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, যেই কোর্ট অফিসার এই অভিযোগ করে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি ঘটনাচক্রে ওই প্রধান বিচারপতির কোর্টেই অফিসার হিসাবে নিযুক্ত। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনিই আজ অর্থাৎ বুধবার পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছিলেন। এদিন তিনি আদালতের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো বিষয়টিকে ‘প্রহসন ও প্রতারণা’ বলে বর্ণনা করেছেন।