সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা (India Pakistan War Breaking News) এখন চরমে পৌঁছেছে। সন্ত্রাসবাদীদের সায়েস্তা করতে ভারত চালাচ্ছে অপারেশন সিঁদুর। তবে তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তকে। সূত্রের খবর, সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে যেমন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনারা, ঠিক তেমনই দেশের ভিতরেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ জওয়ানরা।
বিশেষ করে শিলিগুড়ি জেলার চিকেন নেক করিডরকে ঘিরে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আর এর মধ্যে বেরুবাড়ি এলাকায় জারি হয়েছে কার্ফু। সূত্র বলছে, রাত 8 টা থেকে সকাল 8 টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে পা দিলেই এবার নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। হ্যাঁ, এমনটাই জানিয়েছে বিএসএফ।
চলছে অপারেশন সিঁদুর | Operation Sindoor |
প্রসঙ্গত গত 22 এপ্রিল পহেলগাঁওতে পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতের উপর হামলা চালায় এবং নিরীহ 26 জন পর্যটককে গুলি করে মারে। আর এই আবহে ভারত যে চুপ থাকবে না, তা আগেভাগেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে আসলো যোগ্য জবাব। অপারেশন সিঁদুর নাম দিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে সোজা সাপ্টা জবাব দিচ্ছে এবার ভারতীয় আর্মি। সীমান্ত পেড়িয়ে আঘাত হানা হয়েছে জঙ্গি ঘাঁটিগুলির উপর। ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের ভিতরে শুরু হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
সীমান্তে জারি হল কার্ফু
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বিএসএফ বলেছেন, অত্যন্ত জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন না পড়লে রাতের বেলা আর বাইরে বেরোনো যাবে না। সীমান্তে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে নজরদারি চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জমাদার পাড়া এলাকায় শুরু হয়েছে মাইকে করে প্রচার। আর এর দায়িত্ব ছিলেন বিএসএফের ৯৩ নাম্বার ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট মনোজ কুমার।
চিকেন নেকে বসানো হলো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা
এদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের সংযোগস্থলের প্রধান রাস্তা চিকেন নেক করিডোর। প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘা এই অঞ্চলে ভারতের আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগে রয়েছে। তাই এখানে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সারফেস টু এয়ার মিসাইল। সেনাদের সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে, এই অঞ্চলও এখন সামরিক নজরদারির আওতায় রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীন হল বালোচিস্তান! বড়সড় দাবি করে বসলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন
এদিকে সেনাদের অভিযানকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, এটা কোন রাজনীতি করার সময় নয়। দেশের পক্ষে সবাইকে একজোট হতে হবে। এই আন্দোলন সবার। মিডিয়াকে অনুরোধ, এমন কিছু পরিবেশন করবেন না, যাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয় এবং ফালতু ফালতু উত্তেজনা ছড়ায়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |