প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য সরকারের কর্মচারিদের একাংশ। ২০২২ সালে কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে এখনও লড়তে হচ্ছে সকলকে। তার উপর বারংবার মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় মনোবল ভাঙছে সকলের।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হয়েছিল। সেই শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্য সরকারের কর্মচারিদের ডিএ নিয়ে বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু পরে সময়ের অভাবে মামলার শুনানি হয়নি। এমনকি স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের হলেও মামলার চূড়ান্ত শুনানি এখনও ঝুলে রয়েছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হত। তবে শুনানি শেষ হওয়ার আগেই বিচারপতি অবসর নেন। এরপর মামলাটি নতুন বেঞ্চে গিয়েছে।
বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে কর্মচারিদের ডিএ মামলার প্রথম শুনানিতেই সরে আসেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। ফলে নতুন বেঞ্চ গঠন করতে হয়। এরপর একাধিকবার মামলার বেঞ্চ বদল হয়। আর এইভাবেই হতাশ হয়ে পড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। চলতি বছর গত ২২ এপ্রিল এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে, সে দিন মামলাটি শীর্ষ আদালতে ওঠেনি। এরপরে আজ, বুধবার মামলাটি শীর্ষ আদালতে উঠলেও ফের পিছিয়ে দেওয়া হল শুনানির তারিখ। এইভাবে বারংবার শুনানির দিন পিছিয়ে যাওয়ায় বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাতে বসেছে কর্মীরা।
পরবর্তী শুনানী কবে?
সূত্রের খবর, আজ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ মে। এই মামলার শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফের আইনজীবী আবেদন করেছিল যে একটি অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকার কারণে গ্রীষ্মাবকাশের পর অর্থাৎ জুলাই মাসে যাতে এই মামলার দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু সরকারি সংগঠনের তরফে তার বিরোধিতা করা হয়। তখনই শীর্ষ আদালত জানিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৪ মে। এবং দুপুর ২টোয় হবে এই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুনঃ সবুজ সঙ্কেত RBI-র, জাপানিদের হাতে যেতে চলেছে ভারতের অন্যতম ব্যাঙ্ক! আপনার টাকা আছে?
ক্ষুব্ধ সরকারী সংগঠন
এই নিয়ে ১৬ বার মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছে সরকারি সংগঠনের একাংশ। তবে হাল ছাড়ছে না সরকারী কর্মীরা। নিজেদের হকের দাবি পেতে শেষ পর্যন্ত লড়তে চলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানিয়েছেন যে, ‘আবার একটি তারিখ পড়ল। কিন্তু আমরা এখনও বলছি যে, রাজ্য সরকারের এই খেলা শেষ হয়ে এসেছে। মামলার শুনানি হবেই। রাজ্য সরকারের মুখ পুড়বে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, পেনশনারদের জয় হবেই।’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |