কলকাতাঃ দার্জিলিং… নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পাহাড়ি রাস্তা, সুবিস্তৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা, খাবারে দাবার উফফ আরও কত কি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যাই হোক না কেন মানুষ এখানে ঘুরতে যাবেনই। মাঝে কিছুটা সময়ে অফ সিজন থাকলেও সিংহভাগ সময়ে এই দার্জিলিং পর্যটকদের ভিড়ে থিকথিক করে। সুন্দর দার্জিলিং-এ যাওয়ার ইচ্ছা বা স্বপ্ন কার না থাকে। কিন্তু এখন এই দার্জিলিং-ই ক্রমে নোংরা হয়ে যাচ্ছে। আর যা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে প্রশাসনের। যদিও সেই ৬০-৭০ দশকের সুন্দর দার্জিলিংকে ফিরিয়ে আনতে বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন।
দার্জিলিং নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
শোনা যাচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শৈলশহর দার্জিলিং-এর রূপই বদলে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের দুর্গাপুজোর সময়ে আপনি যদি দার্জিলিং-এ যেতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে নতুন এক সুন্দর জায়গা দেখার সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন আপনি। সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে প্রশাসন। তবে আর না, এবার দার্জিলিং-এর হাল ফেরাতে কোমড় বেঁধে ময়দানে নামতে চলেছে প্রশান বলে খবর।
এমনিতে দার্জিলিং ঘুড়তে গিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন, কয়েক বছরের তুলনায় শহরটি যেন আরও ঘিঞ্জি হয়ে যাচ্ছে। চক বাজার থেকে শুরু করে একের পর এক বহুতল নির্মাণ যেন দার্জিলিং-এর আসল সৌন্দর্যটাই কেড়ে নিচ্ছে। ফলে এসব রুখতে এবার বড় উদ্যোগ নিল দার্জিলিং প্রশাসন।
আরও সুন্দর হবে দার্জিলিং
প্রশাসনের দাবি, আগামী দিনে আরও সুন্দর হবে দার্জিলিং। সম্প্রতি এই মর্মে দার্জিলিং-এর প্রশাসনিক কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খোলা জায়গা, রাস্তার ধারে বসার বেঞ্চ এগুলির উপর জোর দেওয়া হবে। রেলিংয়ের ধারে সারি সারি দোকান বসে রয়েছে সেগুলিকে তোলা হবে এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এতে করে একদিকে যেমন শহরের নিকাশি ব্যবস্থাকে উন্নত করা যাবে ঠিক তেমনই দার্জিলিং শহরের সেই হারিয়ে যাওয়া রূপও ফেরানো সম্ভব হবে। প্রশাসনের নজরে বিশেষভাবে রয়েছে চক বাজার। কারণ যত সময় এগোচ্ছে ততই এই চক বাজারের মতো জমজমাটি জায়গা ঘিঞ্জি হয়ে যাচ্ছে। পায়ে হাঁটার জায়গা যেন ক্রমশই ছোট হতে শুরু করেছে। ফলে এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে চকবাজারকে নো ভেন্ডিং জোন হিসাবে অর্থাৎ এই এলাকায় কোন হকার বসতে পারবেন না।
সেইসঙ্গে দার্জিলিংয়ের ওল্ড মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিংকে নতুন করে রঙ করা হবে। হকারদের অন্য বিল্ডিংয়ে পুনর্বাসন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।