প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দেখতে দেখতে চলেই এল দুর্গাপুজো। হাতে বাকি আর মাত্র ১৩ দিন, তাই চারিদিকে মণ্ডপ সজ্জার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। দিন রাত এক করে ঝড় বৃষ্টির প্রখর রোদের মধ্যে শিল্পীরা কাজ করে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিপুল চিন্তা এখন পুজো কমিটির কর্তৃপক্ষদের। এমতাবস্থায় মণ্ডপের কাজ বাকি রেখে অগ্রিম টাকা নিয়ে হঠাৎ করেই সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে গায়েব হয়ে গেল শিল্পী। মাথায় হাত মালদহের (Malda) পাঁচটি ক্লাব কর্তাদের।
অগ্রিম টাকা নিয়ে উধাও
স্থানীয় রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের ইংলিশবাজার শহরের বিগ বাজেটের পাঁচটি পুজো কমিটির সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠল কলকাতার শিল্পী পরিচয় দেওয়া সুদীপ্ত পাল ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রায় ২০ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়ে হঠাৎই কাজ ফেলে উধাও হয়ে গিয়েছে। মোবাইলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তাঁদের সঙ্গে। বিপাকে পড়ে বালুচর কল্যাণ সমিতি, দিলীপ স্মৃতি সংঘ, বিএস রোড বেলতলা ক্লাব, কুতুবপুর হিমালয় সংঘ ও কৃষ্ণপল্লি কল্যাণ সংঘের কমিটি। এইভাবে রাতারাতি এই কাণ্ড ঘটায় নিরুপায় হয়ে এবার বিষয়টি নিয়ে মালদহ জেলা প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন ওই পাঁচ ক্লাবের কর্মকর্তারা।
অভিযোগ দায়ের ক্লাব কর্তৃপক্ষদের
অভিযোগকারীরা জানান, বালুচর কল্যাণ সমিতি, দিলীপ স্মৃতি সংঘ, বিএস রোড বেলতলা ক্লাব, কুতুবপুর হিমালয় সংঘ ও কৃষ্ণপল্লি কল্যাণ সংঘের থিম মণ্ডপ তৈরির জন্য আলাদা আলাদা বরাত নিয়েছিলেন সুদীপ্ত। প্রতিটি কমিটি থেকে সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন ভরা কাদায় পড়ে গিয়েছে সকলে। বালুচর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক অমিতাভ শেঠ বলেন, ‘চরম বিপদে পড়লাম সকলে। এখন কীভাবে কাজ শেষ হবে, বুঝতে পারছি না।’ অন্য আরেক পুজো কমিটির সম্পাদক অমিতাভ শেঠ বলেন, “এখন স্থানীয় শিল্পীদের হাত ধরে কাজ করাতে হবে। তবে থিমের সঙ্গে মণ্ডপের মিল রাখা সম্ভব হবে না।”
আরও পড়ুন: এ যেন যখের ধন! বালুরঘাটে শিক্ষকের বাড়ি থেকে উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা
মালদহের পুজোর মণ্ডপ তৈরির ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ইংরেজবাজার থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে মোট পাঁচটি কমিটি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে প্রতি বছর এই পাঁচটি ক্লাবের পুজোর থিম সকলের বেশ নজর কাড়ে। কিন্তু এবার পূর্ব নির্ধারিত থিম অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় বিষণ্ণতা দেখা দিয়েছে এই পাঁচ কমিটির ক্লাব কর্তাদের চোখে মুখে।