তৈরি হচ্ছে ফোর লেনের রাস্তা, আরও কম সময়ে পৌঁছে যাবেন দিঘা! কবে শেষ হবে কাজ?

Published on:

Digha

হাতে কয়েকদিনের ছুটি থাকলেই মনটা কেমন যেন পালাই পালাই করতে থাকে। এমনিতেই কথায় আছে, বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে ফুল। আর এই কথাকে একদম সত্যি করে বাঙালি ট্রেন, বাসের টিকিট কাটতে উদ্যত হয়ে পড়েছেন। সামনেই রয়েছে ১৫ জুলাই। আর ১৫ জুলাই থেকে শুরু করে কয়েকদিন টানা ছুটি থাকছে। ফলে আপনিও সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে যে কোনও জায়গায় ঘুরে আসতে পারে। ঘুরে আসতে পারেন দিঘাও। কারণ দিঘাকে আবারও একবার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।

দিঘা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

WhatsApp Community Join Now

শীত, বর্ষা হোক কিংবা গ্রীষ্মকাল, বছরের যে কোনও সময়ে পর্যটকরা এই জায়গায় ঘুরতে চলে আসেন। সারাবছরই পর্যটকদের ভিড়ে থিকথিক করে পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র তটটি। এখন তো আবার বর্ষাকাল। আর বর্ষাকালে দিঘার সমুদ্রের রূপই আলাদা। আকাশে মেঘ, ফুরফুরে হাওয়া, উত্তাল সমুদ্র দেখার মজাই আলাদা। তবে এবার সকলের দিঘা ভ্রমণ আরও দারুণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এমনই এক সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। দিঘা গেলে আরও পরিষ্কার সমুদ্র পাড়, রাস্তা দেখার সুযোগ পাবেন আপনি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। একদম গোয়ার আরাম্বোল বিচ, মোরজিম বিচ, আঞ্জুনা বিচের ফিল পাবেন।

এবার গোয়ার ফিল দিঘায়

প্রশাসন এবার দিঘার রাস্তাগুলিকে আরও চওড়া এবং সুন্দর ঝকঝকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আগামী দিনে এই সৈকত শহর ভ্রমণ করা আরও পয়সা ওয়াসুল হবে আশা করছেন পর্যটকরা। ইতিমধ্যে নাকি রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়ে গেল। দিঘার মূল প্রবেশদ্বার পর্যন্ত ফোর লেনের রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। শুরু হয়েছে কাজও।

এমনিতে দিঘার এমন অনেক জায়গা রয়েছে যা জবরদখল হয়ে রয়েছে। আর এই জবরদখলের ঘটনা প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছে। তবে জমি জবরদখল মুক্ত করতে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন। কাঁথি পুরসভা কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন, রাজ্য প্রশাসন দিঘাকে একদম ঝাঁ চকচকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির

এমনিতে আগামী দিনে দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তার বড় কারণ হল জগন্নাথ মন্দির। পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের আদলে দিঘাতেও তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। আর এই মন্দিরকে ঘিরে প্রশাসনের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই মন্দির তৈরি হয়ে যাবে। আর এই মন্দির তৈরি গেলে এই সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X