শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ভারতের ধনকুবের ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) হাত ধরে বাংলার মুকুটে এক নয়া পালক যুক্ত হতে চলেছে। পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথমবারের মতো দিঘার বুকে এক নতুন জিনিসের সাক্ষী থাকতে চলেছেন বাংলা তথা গোটা দেশের মানুষ। আসলে দিঘার বুকে এবার সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন গঠন হতে চলেছে আর এই পুরো কাজটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানির হাত ধরে হতে চলেছে শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। অর্থাৎ আগামী দিনে আপনার দিঘা ভ্রমণ আরো আকর্ষণীয় হতে চলেছে। এমনিতেই বিগত কয়েক বছর ধরেই ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছে প্রশাসন। পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে শুরু করে নানারকম পার্ক ইত্যাদি সহ পর্যটকদের টানতে কাজ করে চলেছে প্রশাসন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না।
দিঘায় তৈরী হবে সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশন
দিঘায় যে সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরী হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে সরকার। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র বৃহস্পতিবার বলেছেন, ২০২৬ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘায় সমুদ্রের নীচে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু করা হবে। বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক কনক্লেভ ২০২৪-এর ফাঁকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত মিত্র বলেন, রিলায়েন্স Jio-র তরফে বাস্তবায়িত কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন প্রকল্পটি এই অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ এবং ডেটা স্থানান্তর ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে।
বাংলায় ইন্টারনেটে বিপ্লব?
নতুন যে কেবল স্টেশনটি দিঘায় গড়ে উঠবে তার ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশাবাদী রাজ্য। এর পাশাপাশি বাংলায় বিপুল পরিমাণে শিল্পের জন্য হয়তো বয়ে যেতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, বর্তমানে পূর্ব ভারতে যা সিগন্যাল আসে, তা সব মুম্বই বা চেন্নাইয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়। ফলে সিগন্যাল আসতে দেরি হয়। তবে আর চিন্তা নেই, আগামী দিনে দিঘার সমুদ্রের নীচে যে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হবে সেটির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে সরাসরি সিগন্যাল আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প আগামী দিনে বিরাট বড় গেম চেঞ্জার হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল।
খরচ হবে ১০০০ কোটি টাকা!
আপনি নিশ্চয় ভাবছেন যে এই প্রকল্পটি তৈরি করতে কত টাকা খরচ হবে? রাজ্য সূত্রে খবর, এ প্রকল্পটি তৈরি করতে রাজ্যের খরচ হবে প্রায় হাজার কোটি টাকা মতো। ১,০০০ কোটি টাকার কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন প্রকল্পে ২০২০ সালে অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য সরকার।