সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এক নৃশংস ঘটনা কাঁপিয়ে দিলে গোটা বীরভূমকে (Birbhum)। প্রায় ২০ দিন নিখোঁজ থাকার পর সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর টুকরো টুকরো পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে জলাজমি থেকে। মৃতার পরিবার অভিযোগ তুলছে, স্কুলের ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষকই তাঁকে অপহরণ করে খুন করেছে। ঘটনার পর গ্রেফতার হয়েছে ওই শিক্ষক মনোজ কুমার পাল।
কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?
দিনটা ২৮ আগস্ট। রামপুরহাটের শ্যামপাহারি স্কুলের ওই পড়ুয়া সেদিন টিউশনের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর আর ফেরেনি। খোঁজখবর না পেয়ে পরিবার রামপুরহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে। সন্দেহর তীর গিয়ে ধীরে ধীরে পরে স্কুলের ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক মনোজ কুমার পালের দিকে। পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, ওই শিক্ষকই ছাত্রীটিকে অপহরণ করেছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই মনোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় রিপোর্ট মারফৎ খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে রামপুরহাট থানার কালিডাঙ্গা গ্রামের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই ছাত্রীর দেহ। কিন্তু সম্পূর্ণ দেহ নয়, বরং টুকরো টুকরো করেই কেটে ফেলা হয়েছিল তাঁকে। দীর্ঘদিন ধরেই জলে পড়ে থাকার কারণে পচন ধরা শুরু হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পর থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কোনওরকম ধর্ষণের মামলা হয়নি। তবে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুনঃ SSKM-এ নতুন উডবার্ন ওয়ার্ড! রয়েছে ১৩১ কেবিন, ভাড়াও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
কেন খুন করেছিলেন ওই শিক্ষক?
এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। পুলিশ খতিয়ে দেখছে যে, আগে ছাত্রীকে শারীরিকভাবে কোনওরকম নির্যাতন করা হয়েছিল কিনা। দেহে পচন ধরায় তদন্তে সমস্যা হচ্ছে। তাই ফরেনসিক রিপোর্ট ও অভিযুক্তকে জেরা করে সত্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতঙ্ক। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্তের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হোক এবং ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে।