আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়, তরুণী চিকিৎসকের যোনিদ্বারে মিলল অন্য মহিলার DNA! কে সে?

Published on:

r g kar autopsy report

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (R. G. Kar Medical College and Hospital) এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল দ্বিতীয় বর্ষের তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। যা নিয়ে উথাল পাথাল হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। আন্দোলনের ঝড় এতটাই তীব্র ছিল গোটা দেশের রাজনৈতিক ভীতি নাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। শুধু তাই নয়, আন্দোলন বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল বিদেশের মাটিতেও। দেখতে দেখতে সেই দুর্ঘটনার চার মাসের বেশি সময় অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিচার এখনও অধরা। CBI এর একের পর এক রিপোর্টে উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতে পাল্লা দিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

DNA রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রথম থেকেই আরজি কর আন্দোলনের প্রতিবাদীরা দাবি করে এসেছে, এই ঘটনার পিছনে শুধুমাত্র ধৃত সঞ্জয় রাই এর একার হাত নেই। জড়িয়ে রয়েছে একাধিক ব্যক্তি। যার জন্য, এই ঘটনায় নির্যাতিতা এবং ধৃত সঞ্জয় রায়ের একাধিক DNA টেস্ট করানো হয়েছিল। এই আবহে সিএফএসএল-এর সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, নির্যাতিতার স্তনবৃন্ত, পায়ু, যোনিদ্বারে সোয়াব নমুনায় ‘মাল্টিপল অটোজোমাল প্রোফাইল’-এর সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ, সেখানে একাধিক ব্যক্তির DNA থাকতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি সিএফএসএল এর এক রিপোর্টে দাবি করা হল, নির্যাতিতার যোনিদ্বারে যে DNA মিলেছে, তাতে এক মহিলার DNA উপস্থিত আছে। প্রকাশ্যে এই তথ্য মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

অন্য এক মহিলার DNA পাওয়া গিয়েছে রিপোর্টে!

সূত্রের খবর, নির্যাতিতার শরীরে পাওয়া এক মহিলার DNA নিয়ে ইতিমধ্যে নানা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এবং সেই নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, D12S391 মার্কারে অন্য মহিলার সঙ্গে নির্যাতিতার নমুনার মিশ্রণ স্পষ্ট। আর সেই মহিলার জেনোটাইপ হল 16/22। এই নিয়ে মোট ২৯ টি DNA টেস্ট রিপোর্ট বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি বা সিএফএসএলের রিপোর্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন যে নির্যাতিতার বৃহৎ অন্ত্রের শেষ ভাগ, স্তনবৃন্ত, যোনিদ্বারে DNA নমুনায় একাধিক ত্রুটি রয়েছে। এবং প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে অন্য এক মহিলার DNA এল নির্যাতিতার দেহে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় সেই DNA তে ধৃত ব্যক্তি সঞ্জয়েরও না।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে, আরেক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্ত জানিয়েছেন, “নির্যাতিতাকে নির্যাতন করার সময় কন্ডোম ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে কন্ডোম কোথায় গেল? হয় সেটি ঘটনার আশেপাশে রয়েছে যেটা সকলের নজর এড়িয়ে গিয়েছে। অথবা এটি টয়লেট প্যানে ফ্ল্যাশ করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর যদি কেউ কন্ডোম না পরে এই কাজ করে তাহলে সেখানে সিমেন থাকবে।”

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥