প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আবাসের (Pradhan Mantri Awas Yojana) বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সংঘাত লেগেই রয়েছে। বহু আবেদনের পরেও মেলেনি দুই বছরের আবাসের বরাদ্দ। তাই বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রী আবাসের টাকা নিজে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এই আবহেই এবার আবাসের তালিকা নিয়ে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি পঞ্চায়েতে ক্ষোভ – বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আর এতেই রাজ্যের জেলায় জেলায় জন অসন্তোষ পৌঁছেছে চরমে। তার উপর রয়েছে ট্যাব কেলেঙ্কারি। তবে অনেকে গ্রেফতার হলেও ভয় এখনও কাটছে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই আবাস যোজনার সমীক্ষা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নানা বিক্ষোভ এবং বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে আধিকারিকদের। তালিকায় দেখা যাচ্ছে যাঁদের পাকা বাড়ি আছে তাঁদের নামও রয়েছে প্রকল্পের তালিকায়। কিন্তু যাঁদের মাটির বাড়ি তাঁরাই নাকি বাদ পড়ছে তালিকা থেকে। তার উপর রয়েছে আর্থিক দুর্নীতি। অনেক নেতা নাকি কাটমানির বিনিময়ে আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও দেয়নি সুবিধা। যার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। আর এবার সেই সমস্যা নির্মূল করতে এবার বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।
পঞ্চায়েতে ক্যাম্প করবেন সরকারি কর্মীরা।
আর্থিক কেলেঙ্কারির ছায়া যাতে আবাস যোজনার না দেখা যায় তাই প্রতিটি পঞ্চায়েতে ক্যাম্প করে আবাসের তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের নথি যাচাই করবেন সরকারি কর্মীরা। খতিয়ে দেখা হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও। ইতিমধ্যেই সমস্ত বিডিও অফিসে নবান্নের তরফে পাঠানো হয়েছে সেই তথ্য। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতে ক্যাম্প করবেন সরকারি কর্মীরা। সেখানে আবাস যোজনার তালিকায় যাদের নাম উঠেছে তাদের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হবে।
অবশ্যই করতে হবে এই কাজ
পরিচয় পত্র থেকে শুরু করে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একে একে যাচাই করবেন তাঁরা। এরপর উপভোক্তার আধারের মাধ্যমে OTP পাঠিয়ে সুনিশ্চিত করা হবে যে অ্যাকাউন্ট নম্বর উপভোক্তা দিয়েছেন তার মালিক তিনিই কিনা। এরপর সরাসরি পোর্টাল থেকেই SMS এর মাধ্যমে উপভোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচিত হওয়ার কথা। আর সেই SMS এর ভিত্তিতে তিনি টাকা পাবেন। সেক্ষেত্রে কেউ নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করলে তার নাম বাদ যাবে তালিকা থেকে। টাকা পাবেন না তিনি। সবথেকে বড় বিষয় হল, এর জন্য আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার সংযুক্তিকরণ অত্যাবশ্যক।