টানা তিন মাসের জন্য বন্ধ ডুয়ার্স! ঢোকা নিষিদ্ধ পর্যটকদের

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এসে গিয়েছে বর্ষার মরশুম। আর এই বর্ষার মরশুমে অনেকেই জঙ্গলে সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য এবং পশু পাখিদের দর্শনের জন্য নানা ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকে। কিন্তু সেই ভ্রমণের স্বাদে এবার ভাটা পড়তে চলেছে। তার কারণ আগামী তিন মাসের জন্য ডুয়ার্স সহ রাজ্যের সব বনাঞ্চল (Dooars Jungle Safari Closed) বন্ধ হতে চলেছে। মাথায় হাত পর্যটকদের।

টানা তিন মাস বন্ধ থাকবে বনাঞ্চল!

চলতি বছর নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। আর তাই প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও বর্ষার মরশুমে নিয়ম মেনে ১৬ জুন থেকে বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের সব বনাঞ্চল। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে নোটিশ জারি করেছে বনদপ্তর। বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত এই সময়টায় বন্যপ্রাণীদের মিলনের সময় বা পিক মেটিং সিজন। এছাড়াও গাছের অঙ্কুরোদগম, বন্যপ্রাণের মিলন ও বংশবৃদ্ধির সময় এই বর্ষাকাল।

বন্ধ হতে চলেছে ডুয়ার্সের জঙ্গলও

এছাড়াও এই সময়ে রাজ্যের সকল বনাঞ্চলের মধ্যে থাকা নদীগুলিও ভারী বৃষ্টির জেরে জলে ভরে ওঠে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনকও বটে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে বনাঞ্চলে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বনদপ্তর। ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান-সহ সব উদ্যানগুলিতে। এমনকি আগামী তিন মাসের জন্য বন্ধ হতে চলেছে ডুয়ার্সের জঙ্গল। গোরুমারা, চাপড়ামারি ও ন্যাওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান বন্ধ রাখা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি

এদিকে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হল ডুয়ার্সের জঙ্গল। হাজার হাজার পর্যটক জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন এই জায়গায়। পশুপ্রাণী দেখতে দেখতে জঙ্গল সাফারি করে থাকেন অনেকে। যার ফলে বেশ ভালই ভিড় দেখা যায় হোম স্টে, হোটেল এবং রিসর্টগুলিকে। তবে, আপাতত তিন মাস বনাঞ্চল বন্ধ থাকায় পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। সেই কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে পর্যটন ব্যবসায়ীদের অনেকাংশই।

আরও পড়ুন: শিয়ালদা ডিভিশনে চালু হচ্ছে আরও ৫টি নয়া লোকাল ট্রেন! জেনে নিন রুট ও সময়সূচী

উল্লেখ্য, শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনেও টানা তিন মাস এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, “ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের অধীনেই এই পরিকল্পনা অন্তর্গত। দেশের সমস্ত জঙ্গলে এই সময় বন্যপ্রাণীদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেওয়ার জন্যই আমরা এই উদ্যোগ নিয়ে থাকি। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের সমস্ত জঙ্গলেরই কোর এরিয়াতে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়।”