প্রীতি পোদ্দার, শিলিগুড়ি: দুর্যোগ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ দুর্যোগের পরে ফের আশঙ্কার মেঘ জমা হয়েছে। টানা বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গ ও পাহাড় জুড়ে ফের তৈরি হয়েছে বিপর্যয়ের পরিস্থিতি। আর এই বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে গড়িয়ে আসা জলে ফুলে উঠছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদী। এমনকি দার্জিলিং জেলার দুধিয়া এলাকার বালাসন খোলার জলস্তরও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার দরুন বাধ্য হয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর থেকে দুধিয়ার অস্থায়ী সেতুটি (Dudhia Bridge) সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
বন্ধ রাখা হয়েছে দুধিয়া সেতু
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ৫৪ কোটি টাকায় তৈরি করা হয়েছিল দুধিয়ার হিউম পাইপ সেতুটি। এরপর স্থানীয় প্রশাসন ও পূর্ত দফতর দ্রুত কাজ শেষ করে স্থানীয় এবং পর্যটকদের চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়। কিন্তু অক্টোবরের শেষ থেকে পাহাড়ে ফের টানা বৃষ্টির কারণে সেতুর টেকসই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তার উপর টানা পাহাড়ি বৃষ্টিতে আবারও বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে বালাসন নদীর জলস্তর। হাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় আরও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাই সেই কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি হয়েছে এবং বন্ধ রাখা হয়েছে সেতুটি।
বন্ধ মিরিক-শিলিগুড়ি রুট
সাময়িক ভাবে সেতু বন্ধের প্রসঙ্গ তুলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি। জলস্তর স্থিতিশীল হলে যাতায়াত পুনরায় চালু করা হবে’। এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে মিরিক-শিলিগুড়ি রুটে যান চলাচল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পথচারী ও গাড়িচালকদের বিকল্প রুট ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। যদিও জরুরি পরিষেবার কয়েকটি গাড়ি আপাতত ওই পথে চলাচল করছে বলে সূত্রের খবর। তবে জলস্তর আরও বেড়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণভাবে এই সড়কপথ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: উলুবেড়িয়ায় সিভিকের ‘দাদাগিরি’! পাওনা আদায় নিয়ে ব্যক্তিকে চরম মারধর
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছরই বর্ষার সময় এই অস্থায়ী সেতুতে নানা সমস্যা দেখা দেয়, কিন্তু কোনো বারেই স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয় না। তাইতো বর্ষা এলেই এই সেতু বন্ধ হয় আর আমাদের যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। অনেক ক্ষতি হয় আমাদের।” তবে প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, জলস্তর স্থিতিশীল হলেই সেতু খুলে দেওয়া হবে। ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।












