প্রীতি পোদ্দার, বালুরঘাট: ভারতে যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হল ভারতীয় রেল। তাই সেই কারণে রেলকে লাইফলাইন বলা হয়ে থাকে। কিন্তু রেল পরিষেবার মাধ্যমে যতই কম সময়ে বেশি দূরত্ব পথ অতিক্রম করা গেলেও, খবরের শিরোনামে একের পর এক রেল দুর্ঘটনার খবর উঠে আসছে। যা নিয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত ক্ষোভ জাগছে সাধারণ মানুষের মনে। আর আবহেই বালুরঘাট থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ল তেভাগা এক্সপ্রেস।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বালুরঘাট থেকে কলকাতাগামী তেভাগা এক্সপ্রেস রওনা দিতেই এক বড় বিপত্তি ঘটে। জানা গিয়েছে এদিন ৬টা ১০ মিনিটে মল্লিকপুর স্টেশন পার করে রামপুর স্টেশনে ঢোকার আগেই পোলানপুরে এলাকায় মল্লিকপুর ও রামপুর স্টেশনের মাঝে পোলানপুরে ছিঁড়ে যায় ইলেক্ট্রিকের তার। মুহূর্তের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। ফলস্বরূপ অল্পের জন্য খুব বড় অঘটন এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বালুরঘাট জিআরপি
পরে ট্রেনটিকে গন্তব্যে নিয়ে যেতে মালদা থেকে নিয়ে আসে আরও একটি ইঞ্জিন। প্রায় তিন ঘন্টা পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুর্ঘটনা ঘটার খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে রেলের ইলেক্ট্রিফিকেশন বিভাগ তার মেরামতির কাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বালুরঘাট জিআরপি। এদিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা ভালো করে খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রামপুর বাজারে দীর্ঘ সময় ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী দেবব্রত ভট্টাচার্য জানান, “কলকাতায় যাওয়ার জন্য সকাল পৌনে ৬টা থেকে স্টেশনে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু রামপুর বাজারে ট্রেন ঢোকে ৬টা ৩ মিনিটে। বালুরঘাটের পরের স্টেশন এটি। কিন্তু তিন ঘণ্টা কেটে গেলেও ট্রেন ঢোকেনি।”