ফের একবার বিশ বাঁও জলে বাংলার এক শুরু না হওয়া রেল রুট। এই রেল রুট চালু করা নিয়ে সাধারণ মানুষ বিগত দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, কিন্তু নানা জটিলতায় কাজ বারংবার আটকে যাচ্ছে। যে কারণে বেজায় মন খারাপ সকলের। এমনিতে সাধারণ মানুষের রেল যাত্রা যাতে আরও সুগম হয় তার জন্য নিরন্তর কাজ করেই চলেছে ভারতীয় রেল। নতুন নতুন ট্রেন আনা থেকে শুরু করে একের পর এক রেল রুট, রেল স্টেশন তৈরি, পুরনো রেল স্টেশনগুলির আধুনিকরণ করার কাজ করছে রেল। তবে বাংলার তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রুটে রেল লাইন পাতার কাজ শুরু হবে হবে করেও যেন হচ্ছে না।
রেলের যেন এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাবাদিঘি। রেলকে এই জায়গার ভাগ দিতে একদম নারাজ স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এই ভাবাদিঘি গোঘাটে অবস্থিত। জানা যাচ্ছিল, খুব শীঘ্রই হয়তো এই গোঘাট রেল স্টেশনের পর লাইন পাতার কাজ শুরু হবে, কিবতু বারবার এই ভাবাদিঘি জগদ্দল পাথরের মতো বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে রেলের কাছে। একবার যদি তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর রেল রুট শুরু হয়ে যায় তাহলে বহু মানুষের সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ভাবাদিঘি পরিদর্শন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের
সম্প্রতি ভাবাদিঘি পরিদর্শন করেছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার থেকে শুরু করে হাওড়ার ডিভিশনাল ম্যানেজার। কিন্তু গ্রামবাসীরা ওই দিঘির একাংশ বুজিয়ে ফেলে রেলপথ নির্মাণে আপত্তি জাহির করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এবার কী করবে রেল? এই বিষয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার (১) মনোজ বলেন, ‘শুধু ভাবাদিঘির সমস্যার জন্য আমরা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের সামনে থমকে আছি। আলোচনার সময় গ্রামবাসীরা সবাই তেতে ওঠায় কথা বলে লাভ হয়নি। তাই আলোচনা এগোয়নি।’ অন্যদিকে ‘দিঘি বাঁচাও কমিটি’র সম্পাদক সুকুমার রায় বলেন, ‘রেলের নির্মাণ বিভাগের কর্তারা এসেছিলেন বলে ভাবলাম সমস্যা মিটবে। কিন্তু তাঁরা আগের নকশা অনুযায়ী কাজ করতে চান। তাই আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।’
আরও পড়ুনঃ এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মিলবে ৩০০০ টাকা! হয়ে গেল ঘোষণা, কী বলছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার?
পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসনকে একটা বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে এখন ভাবনাচিন্তা চলছে বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। মূলত গ্রামবাসীদের বক্তব্য, জলাশয়ের কোনওভাবেই ক্ষতি করা যাবে না। এখন দেখার রেল কী করে।