সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর দাপটে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে বাংলায়। তাপমাত্রাও কয়েক লাফে কমে গিয়েছে অনেকটা। সেইসঙ্গে বেশকিছু জায়গায় জলও জমতে শুরু করেছে। তবে এসবের মাঝেই বাংলার মানুষের জন্য রইল আরও ভয়ানক খবর। এবার প্রশাসনের তরফে সকলকে বন্যার (Flood In Bengal) জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হল। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। ইতিমধ্যে ঘাটাল থেকে শুরু করে চন্দ্রকোণা সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু জায়গায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। তবে ফের একবার বাংলার আকাশে আশঙ্কার ঘনঘটা। জারি করা হল কমলা সতর্কতা।
বন্যার জন্য জারি কমলা সতর্কতা
বাংলার বেশ কিছু জেলায় একদিকে যখন বন্যার পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে সেখানে অন্যদিকে সকলের চিন্তা বাড়াল ডিভিসি। জানা গিয়েছে শুক্রবার রাত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে ডিভিসি। জানলে অবাক হবেন, ৭০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু করেছিল ডিভিসি। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৭০,৪৭৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে। যে কারণে বন্যার কমলা সতর্কতা জারি করেছে ডিভিসি।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বিহারের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে নিম্নচাপ। তার ফলে ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে ডিভিসি বেশি জল ছাড়তে শুরু করেছে।মাইথন-পাঞ্চেত থেকে আরও বেশি জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে নিম্ন দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীতে জলস্তর আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তৈরী হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।
জলের তলায় বহু জেলায়
ইতিমধ্যে বেশ কিছু জেলা জলে ডুবে গেছে। সেগুলি পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি এবং বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত।হুগলির আরামবাগ মহকুমায় জলস্তর বৃদ্ধির কারণে স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাওড়া জেলার আমতা-উদয়নারায়ণপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি নদীর বাঁধের পাশে জরুরি মেরামতের কাজও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বদলে যাচ্ছে ব্যাঙ্কিং নিয়ম! বেতন, পেনশন, EMI-সবেতেই পড়বে প্রভাব! জানুন খুঁটিনাটি
ঝাড়খণ্ডের গালুডিহ জলাধার থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ার কারণে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকায় উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জলে ঘাটাল, খদ্দর, গড়বেতা ও চন্দ্রকোনার নতুন এলাকাও তলিয়ে গেছে।
নজর রাখছে নবান্ন
সার্বিক ঘটনার ওপর নবান্ন নজর রাখছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই নবান্নে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি বন্যাপ্রবণ জেলায় ২৪×৭ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |