টাকা দিয়েও মিলছে না সিলিন্ডার, গ্যাসের আকাল কলকাতায়! চাপে মুখ খুলল ইন্ডিয়াল অয়েল

Published on:

gas cylinder lpg kolkata

কলকাতাঃ গ্যাস বুক করেও গ্যাস মিলছে না। যে কারণে এখন বহু বাড়িতে রান্না করা রীতিমতো বিভীষিকার সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে গ্যাস বুক করলে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে চলে আসতো তা এখন ৪-৫ দিন কেটে গেলেও আসতে চাইছে না, যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মাথায় চিন্তার বাজ ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় ডিলারদের কাছে গেলেও সকলের একটাই বক্তব্য, আরও কয়েক কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। উত্তর কলকাতা থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতার বহু মানুষের মাথায় এখন একটাই চিন্তা, বাড়িতে রান্না হবে কি করে? বাড়িতে যাও বা গ্যাস আছে তা হয়তো তিন থেকে চার দিন অন্তত চলবে, তারপর গ্যাস না এলে কি হবে? ফলে বেজায় চিন্তিত মানুষজন। প্রশ্ন উঠছে আচমকা কেন এরকম পরিস্থিতি তৈরি হল? এই বিষয়ে এবার মুখ খুলল ইন্ডিয়ান অয়েল।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

শহরে গ্যাসের আকাল

উত্তর কলকাতা থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতার একাংশে রীতিমতো গ্যাসের আকাল দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন আচমকা শহরে এরকম পরিস্থিতি কেন তৈরি হলো? এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রে জানা যাচ্ছে, কল্যাণীতে টানা কর্মবিরতি চলার জেরে এহেন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই কল্যাণীতে ইন্ডেনের LPG বটলিং প্লান্টে শ্রমিক বিক্ষোভ চলছিল। এই ঘটনার জেরে টানা ৭ দিন ধরে কারখানায় কাজ বন্ধ ছিল। এখন থেকে মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও কলকাতার একটা বড় অংশে সিলিন্ডার যায়। যদিও টানা এই বিক্ষোভের জেরে কাজ বন্ধ ছিল। ফলে জায়গায় জায়গায় গ্যাসের আকাল দেখা দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হবে বলে দেওয়া হয়েছে।

শীঘ্রই সমস্যা মিটবে

যদিও গ্যাসের আকাল আর দেখা দেবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল। বিজেপি সমর্থিত ঠিকা ট্রান্সপোর্ট মজদুর সঙ্ঘ বড় দাবি করেছে। এই সঙ্ঘের সম্পাদক সঞ্জীব মালো সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছে বলেন, ‘‘তৃণমূলের সংগঠন নিজেদের স্বার্থে কর্মবিরতি করেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে আমাদের ৫৭ জন সদস্যের গাড়ি বসিয়ে দিয়েছে। অথচ ন্যূনতম মজুরি, নিয়োগ, কর্মীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক দাবি মানছেন না কর্তৃপক্ষ। আমরা কাজ বন্ধ না করেও সোমবার থেকে আন্দোলনে নেমেছি।’’

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

অন্যদিকে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ সুমন মিত্রের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে মাসে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার তছরুপ হচ্ছে কল্যাণী প্লান্টে। যদিও তৃণমূল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অজিত কীর্তনিয়ার দাবি, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ। কাজ বন্ধ করিনি। অগস্ট থেকে নতুন টেন্ডার শুরু হওয়ায় প্রথম সাত-আটদিন কাজের গতি শ্লথ ছিল।’’

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group